খন্দকার মাশুকুর রহমান

শেখ হাসিনার পালিয়ে গেলেও বডি রয়েছে এ দেশে

বোয়ালমারী (ফরিদপুর) প্রতিনিধি প্রকাশিত: অক্টোবর ৩০, ২০২৪, ০৭:২৭ পিএম

২০০৬ সাল থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদলের শত শত নেতাকর্মীকে হত্যা করা হয়েছে। শতশত নারীকে লাঞ্ছিত করা হয়েছে। যারা দীর্ঘদিন যাবৎ হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন। এই সকল হত্যাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে এনে ফাঁসিতে ঝুলাতে হবে। শেখ হাসিনার মাথা পালিয়ে গেলেও বডি রয়েছে এই দেশে। তার সেই সব সাঙ্গপাঙ্গরা দেশে এখনও ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক (ফরিদপুর বিভাগ) খন্দকার মাশুকুর রহমান মাশুক।

বুধবার বিকালে ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলা সদরের চৌরাস্তা পুরান বাসস্ট্যান্ডে স্থানীয় কৃষকদলের আয়োজনে শেখ হাসিনার ফাঁসির দাবিতে জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

কেন্দ্রীয় বিএনপি নেতা খন্দকার মাশুকুর রহমান বলেন, আমাদের দলে একটা বেইমান ছিলেন। যার নাম শাহ মোহাম্মদ আবু জাফর। এই লোভী উচ্ছিষ্টভোগী নেতা বিএনপির সাথে বেইমানী করে রাতের আঁধারে কিং পার্টি খুলে শেখ হাসিনার সাথে হাত মিলিয়ে ২৪ সালের নির্বাচনে অংশ নেন। ফরিদপুর-১ আসনে তিনি বিএনপি নেতা কর্মীদের ভাগিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছেন। এই বেইমান নেতার ফাঁদে কোন বিএনপি নেতা কর্মী পা দিবেন না।

তিনি আরও বলেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফরিদপুর-১ আসন থেকে খন্দকার নাসিরুল ইসলামকে এমপি নির্বাচনে দলীয় নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

এই বিএনপি নেতা বলেন, শেখ হাসিনা বিচার করেছে সাক্ষ্য-প্রমাণ ছাড়া মিথ্যা তথ্যের ভিত্তিতে। ওই একই ট্রাইব্যুনালে এখন সত্য-সঠিক তথ্যের ভিত্তিতে শেখ হাসিনা ও তার দোসরদের বিচার করা হবে। যা পৃথিবীর সবাই জানবে। আশা করি, শেখ হাসিনার ফাঁসি হবে। কারণ দেশের শিশুরাও এই খুনি হাসিনার ফাঁসি চায়।

বোয়ালমারী উপজেলা কৃষক দলের সভাপতি লুৎফর রহমানের সভাপতিত্বে গণসমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন, কেন্দ্রীয় কৃষক দলের সহ-সভাপতি ফরিদপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য খন্দকার নাসিরুল ইসলাম, জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী নয়াবা ইউসুফ, ফরিদপুর মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এফএম কাইয়ুম জঙ্গি, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব একে কিবরিয়া স্বপন, মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব মিরাজুল ইসলাম মিরাজ, বোয়ালমারী উপজেলা বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম সিরাজ, সাবেক পৌর মেয়র আব্দুস শুকুর শেখ, আতাউর খান, মো. ইকরাম হোসেন, স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক সঞ্জয় সাহা প্রমুখ।  

ইএইচ