চলতি আমন মৌসুমে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে ধানক্ষেতে ইঁদুরের উপদ্রব বেড়েছে। প্রতিনিয়ত ধানগাছ কেটে নষ্ট করে ফেলছে ইঁদুর। ফলে দুশ্চিন্তায় পড়েছে উপজেলার ধান চাষিরা।
কৃষকরা ইঁদুর নিধনে বিভিন্ন ফাঁদ পাতলেও দমন করা সম্ভব হচ্ছে না। এরমধ্যে উপজেলায় বেশ কিছু এলাকায় আগাম জাতের ধান পাকতে শুরু করেছে। আবার এখনও অনেক এলাকায় ধানগাছের শিষ বের হতে শুরু করেছে। ঠিক সেই সময় ধানের গাছ ইঁদুর কেটে সাবাড় করছে। ওষুধ দিয়ে ও প্রাকৃতিক নানাভাবে ইঁদুর মারার চেষ্টা করছে চাষিরা। তাতেও বিশেষ কোনো কাজ না হওয়ায় ইঁদুর তাড়ানো নিয়ে ধান চাষিরা চরম বিপাকে পড়েছে।
সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন এলাকার ফসলের মাঠ ঘুরে দেখা যায়, বেশিরভাগ ক্ষেতের ধান পাকতে শুরু করেছে। কিছু কিছু এলাকায় ধান কাটছে কৃষকরা। কৃষকের পাকা-আধাপাকা ধানগাছ কেটে সাবাড় করছে ইঁদুর। ইঁদুরের এমন উপদ্রবে চলতি বছরে ধান চাষে ব্যাপক ক্ষতির সম্ভবনা কথা জানিয়েছেন কৃষকরা।
উপজেলার গোবিন্দাসী ইউনিয়নের কৃষক চাঁন মিয়া, নজরুল ইসলাম ও তুলা মিয়া বলেন- ধানক্ষেতে দুইবার ইঁদুর মারার ওষুধ দিয়েছি, তাতেও কোন কাজ হচ্ছে না। ক্ষেতের ধানগাছ ইঁদুরে কাটে ফেলছে। স্প্রে করে, ওষুধ দিয়ে কাজ হচ্ছে না। কোনোভাবেই ইঁদুরের উপদ্রব কমছে না। ইঁদুরের উপদ্রব থেকে ধান রক্ষা করতে খেতের মধ্যে বাঁশের কঞ্চি গেড়ে এতে পলিথিন টাঙিয়ে দিয়েছেন। আমাদের কেউ কেউ আবার খেতের চারপাশে ইঁদুর মারার ফাঁদ তৈরি করে রেখেছেন। তবুও কোনো কাজে আসছে না। এ বছর ইঁদুরে আমাদের ব্যাপক ক্ষতি করে ফেলেছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মোখলেছুর রহমান বলেন, চলিত বছরে উপজেলায় ৬ হাজার ২৩০ হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষ করা হয়েছে। এরমধ্যে অল্পকিছু ক্ষেতে সামান্য ইঁদুরে আক্রমণ করেছে। এসব ইঁদুর নিধনে বিষ টোপসহ বিভিন্ন বিষয়ে কৃষকদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। ইঁদুর তাড়ানোর জন্য কীটনাশক প্রয়োগসহ বিভিন্ন পদ্ধতি নিয়ে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা মাঠ পর্যায়ে কাজ করছে।
ইএইচ