সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলাটি শস্য ভাণ্ডার হিসাবে পরিচিত। আর এই উপজেলায় শুরু হয়েছে আগাম জাতের রোপা আমন ধানা কাটা। চলতি মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ফলনও হচ্ছে বাম্পার, তাই উপজেলার প্রতিটা কৃষক রোপা ও আমন ধানের ফলনে বেজায় খুশি। তারা ইতিমধ্যই ধান কেটে মারাই করে ঘরে তুলতে শুরু করেছে।
তাড়াশ উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় চলতি বছর বোনা ও রোপা আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। কারণ চলনবিল এলাকায় বর্ষা মৌসুমে জমিতে প্রচুর পরিমাণে পলি পড়ে এতে জমি উর্বর হয়। ফলে আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়, এবারও তাই হয়েছে। উপজেলার ৮টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভার উঁচু এলাকায় রোপা আমন ধান ও নীচু এলাকায় বোনা আমন ধানের চাষাবাদ করেন কৃষকেরা।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে আরও জানা যায়, তাড়াশ উপজেলায় মোট আবাদি জমির পরিমাণ ২৫ হাজার ২৫০ হেক্টর। গত বছর রোপা আমন ধানের আবাদ হয়েছিল ১৩ হাজার ৮৯০ হেক্টর জমিতে। আর এ বছর আবাদ হয়েছে ১৩ হাজার ৯১০ হেক্টর জমিতে।
কৃষি অফিস জানান, তাড়াশ উপজেলায় এ বছর হাইব্রিড ১১০০ জাত, ৪ জাত, ৬ জাত, এরাইস ৭০০৬ জাত, বিআর-২২, ব্রী ৩৪, ৩৬, ৩৯, ৪৯, ৫১, ৫২, ৭৫, ৮৭, ৯০, ৯৩, ৯৫, বিনা ধান ৭, ১৭, ২২ ও স্বর্না জাতের ধানের আবাদ হয়েছে।
বারুহাস ইউনিয়নের রানীদিঘী গ্রামের কৃষক গোলাম রব্বানী জানান, গতবার বোরো মৌসুমে ৮ বিঘা জমিতে ধান চাষ করেছিলাম। এবারে ৮ বিঘা জমিতে রোপা ধান চাষ করেছি। চলতি বছরে কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না থাকায় রোপা আমন ধানের বাম্পার ফলন পাওয়া যাচ্ছে। বিঘা প্রতি ১৪ মণ থেকে ১৫ মণ হারে ধান পাওয়া যাচ্ছে। আশা করছি দামটাও ভালো পাব।
তাড়াশ উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ আব্দুল্লাহ আল মামুন জানিয়েছেন, তাড়াশ উপজেলায় আগাম রোপা আমন ধান কাটা শুরু হয়েছে। আগাম ধান কেটে কৃষকরা সহজেই ঐ জমিতে সরিষা রোপণ করতে পারবেন, শুরুতে ধানের দাম বেশি থাকায় তারা আর্থিকভাবেও লাভবান হবেন।
ইএইচ