একমাস ধরে হাঁস-মুরগির ভ্যাকসিন নেই, গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা প্রাণী সম্পদ অফিস ও ভেটেরিনারি হাসপাতালে। ভ্যাকসিন না পেয়ে প্রতিদিন হাসপাতাল থেকে ফিরে যাচ্ছেন অনেকেই, ভোগান্তিতে পড়েছেন প্রান্তিক পর্যায়ের খামারিরা।
জানা গেছে, রানীক্ষেত ভাইরাসজনিত মুরগির এক প্রকার মারাত্মক রোগ। এ রোগে আক্রান্ত হলে মুরগিকে বাঁচানো কঠিন। রাণীক্ষেতে আক্রান্ত মুরগির শতকরা ৯০ শতাংশই মারা যায়। তাই প্রতিরোধক হিসেবে নির্দিষ্ট বয়সে বাচ্চাদের ভ্যাকসিন দিতে হয়। ৬ দিন বয়সের বাচ্চাদের এক ডোজ ও ২১ দিন বয়সীবাচ্চাদের ২য় ডোজ ভ্যাকসিন দেওয়া হয়। প্রান্তিক পর্যায়ের ছোটখাট খামারি ও গৃহস্থালি পর্যায়ে যারা অল্প পরিমাণে মুরগি পালন করেন তাদের কথা বিবেচনা করে সরকার উপজেলা প্রাণী সম্পদ অফিসে রানীক্ষেতের ভ্যাকসিন সরবরাহ করে।
প্রতি ১শ’ বাচ্চার ভ্যাকসিনের সরকার নির্ধারিত মূল্য ২৫ টাকা। যা বাইরে বেসরকারিভাবে ১শত ৮০ টাকা থেকে ২শ টাকায় বিক্রি হয়। এই অবস্থায় প্রাণী সম্পদ অফিসে ভ্যাকসিন না পেয়ে অনেকে বাইরে থেকে অতিরিক্ত দামে ভ্যাকসিন কিনতে বাধ্য হচ্ছেন। অনেকে আবার সরকারি ভ্যাকসিনের জন্য অপেক্ষা করছেন।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, সদর উপজেলায় দেশি মুরগির ৯০ হাজার, সোনালি ১ লাখ, ব্রয়লার ৩ লাখ ৮০ হাজার, লেয়ার ২০ হাজার ও ২৫ হাজার হাঁস রয়েছে। গত ১ জুলাই থেকে হাসপাতালে ভ্যাকসিনের সংকট দেখা দিয়েছে।
উপজেলা প্রাণী সম্পদ অফিসে গোবরা ইউনিয়ন থেকে ভ্যাকসিনের জন্য আসা মোহাম্মদ রেজা বলেন, বারবার এসে ভ্যাকসিন না পেয়ে ফিরে যাচ্ছি। বাড়িতে ২০টা মুরগি পালন করি আমি। সরকারিভাবে ২৫ টাকার ভ্যাকসিন বাইরে থেকে ২শ টাকায় নেওয়া আমার জন্য কষ্টকর ।
সাতপাড় ইউনিয়ন থেকে প্রানি সম্পদ অফিসে আসা মালতি রানী বলেন, আমি ১ শত মুরগি পালন করি। ভ্যাকসিন না পেয়ে ফিরে যাচ্ছি। বাইরে থেকে বেশি টাকা দিয়ে ভ্যাকসিন কিনতে হবে।
সদর উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. প্রভাস চন্দ্র সেন বলেন, চাহিদার পরিমাণ বেশী থাকায় ভ্যাকসিনের সংকট দেখা দেয়। আগামী ৭ থেকে ১০ দিনের ভিতর ভ্যাকসিন পাওয়া যাবে বলে তিনি আশা করেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মহসিন উদ্দীন বলেন, পশু হাসপাতালে ভ্যাকসিন সংকটের খবর পেয়েছি। অচিরেই ভ্যাকসিন সংকট দূরীকরণের চেষ্টা করবো।
বিআরইউ