বাকেরগঞ্জে সাবেক মেয়রসহ আওয়ামী লীগের ১৮ নেতাকর্মী কারাগারে

বাকেরগঞ্জ (বরিশাল) প্রতিনিধি প্রকাশিত: নভেম্বর ১৩, ২০২৪, ০৬:৩৬ পিএম

বরিশালের বাকেরগঞ্জে বিএনপির নেতা-কর্মীদের উপর হামলা ও মারধরের ঘটনায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে দায়ের করা মামলায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক পৌর মেয়র লোকমান হোসেন ডাকুয়া ও সাবেক ৩ পৌর কাউন্সিলরসহ আওয়ামী লীগের ১৮ নেতাকর্মীকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।

বুধবার (১৩ নভেম্বর) বরিশালের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. তানভীর তাদের জামিনের আবেদন বাতিল করে কারাগারে প্রেরণ করেছেন বলে জানিয়েছেন আদালতের জিআরও এএসআই নূর মোহাম্মাদ।

কারাগারে প্রেরণ করা অন্যান্য আসামীরা হলেন সাবেক জেলা পরিষদ সদস্য মাসুদ আলম খান, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাসুদ আকন, উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ৬নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর মোখলেছুর রহমান, পৌর যুবলীগ সভাপতি ২নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর খন্দকার জিয়াউর রহমান রিপন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ৩নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর সুজন চন্দ্র দেবনাথ, হাফিজুল ইসলাম, যুবলীগ নেতা মাহফুজ মুসুল্লি, নূরুল আমিন মাহাবুব, সৈয়দ আরিফুর রহমান, পরিতোষ, ভরপাশা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক লিটন গাজী, গারুড়িয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল কুদ্দুস নান্টু, সাবেক ইউপি সদস্য ফারুক হাওলাদার, সোহেল রানা, শফিক ডাকুয়া, পঙ্কজ ও ইকবাল তালুকদার।

মামলা সূত্রে জানা যায়, বিএনপির সাংগঠনিক সভায় যোগ দিতে গত ২০২২ সালের ২৭ আগস্ট গারুরিয়া ইউনিয়ন বিএনপি প্রস্তুতি সভার আয়োজন করে। ওইদিন বিকেল ৫টার সময় বিএনপির ২৫০-৩০০ জন নেতা-কর্মী গারুড়িয়া ইউনিয়নের দেলোয়ার হোসেন হাওলাদারের বাড়ির সামনে জড়ো হলে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক লোকমান হোসেন ডাকুয়ার নেতৃত্বে উল্লেখিত আসামিরাসহ ১৫০-২০০ জন আগ্নেয়াস্ত্র, ধারালো দা, রামদা ও লাঠিসোঁটা নিয়ে অতর্কিতভাবে হামলা করে। হামলাকারীরা বেপরোয়াভাবে রাস্তায় চলাচলরত ইজিবাইক, অটো রিকশা ও মোটরসাইকেল অটোরিকশা ভাঙচুর এবং কয়েকটি দোকান ভাঙচুরসহ এলাকায় ত্রাস সৃস্টি করে ধ্বংসাত্মক ও নাশকতামূলক কার্যক্রম চালায়। এসময় তারা বিএনপির ৫০-৬০ জন নেতা-কর্মীকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম এবং নগদ টাকা ও মোবাইলসহ ৫ লক্ষ ৭০ হাজার টাকার মালামাল ছিনিয়ে নেয়। এ ঘটনায় উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা হাসান সিকদার বাদী হয়ে ৭ নভেম্বর রাতে নামধারী ৯০ জনসহ অজ্ঞাতনামা ১৫০-২০০ জনকে আসামি করে বিশেষ ক্ষমতা আইনে একটি মামলা দায়ের করেন।

আরএস