ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার রানাপশা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকসহ মোট ১৩ জন শিক্ষক রয়েছেন। বিদ্যালয়ে মাত্র তিনটি পদ শূন্য রয়েছে। স্কুলে তৃতীয় শ্রেণির দুজন (কম্পিউটার ল্যাব অপারেটর ও অফিস সহকারী) রয়েছেন।
সংশ্লিষ্ট বিষয়ের শিক্ষক থাকা সত্ত্বেও বিদ্যালয়ের অফিস সহকারী জ্যোতী রানি বিশ্বাসকে দিয়ে পাঠদান করানো হয়।
জানা গেছে, জ্যোতি রানি বিশ্বাসের বাবা বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা থাকার কারণে তিনি যোগদানের পর থেকেই শিক্ষার্থীদের পাঠদান করাচ্ছেন। তার তাকে দায়িত্ব দেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বাবুল চক্রবর্তী।
সোমবার বিদ্যালয়টিতে গিয়ে দেখা যায়, দীর্ঘ ২ মাস ধরে ল্যাব অপারেটর আঁখি হাওলাদার বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত আছেন। ষষ্ঠ শ্রেণির পাঠদান করাচ্ছেন জ্যোতি রানী বিশ্বাস।
বিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষার্থী জানান, শিক্ষকরা এসে আড্ডা দেন। আর আমাদের অফিস সহকারী জ্যোতিকে দিয়ে পাঠদান করান। এছাড়া লায়লা ম্যাডাম নামে একজন শিক্ষিকা আছেন তিনি শ্রেণিকক্ষে এসে পান খান, মেকাপ করেন এছাড়া টিকটক করেন আমাদের দিয়ে সিঙ্গারা আনায়, মোবাইলে টাকা রিচার্জ করান। এছাড়াও আমাদের স্বাস্থ্য বিষয়ক একটা বই আছে যেটি পুরুষ শিক্ষক দিয়ে করানো হয় এবং ছেলে ও মেয়েদের একসাথে এই ক্লাসটি করান সুমন স্যার নামে একজন শিক্ষক। তিনি বেত থাকা সত্ত্বেও হাত দিয়ে আমাদের মারধর করেন। আমরা চাই লেখাপড়া করতে। আমরা কিছু বললে আমাদের পরীক্ষায় ফেল করিয়ে দেওয়ার ভয় দেখান। তাছাড়া কোন মাল্টিমিডিয়া (কম্পিউটার) ক্লাস করানো হয় না।
অফিস সহকারী জ্যোতি রানী বিশ্বাস বলেন, আমি যোগদানের পর থেকেই ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির ক্লাস নিচ্ছি। আমার প্রধান শিক্ষক স্যারের নির্দেশেই আমি ক্লাস নিচ্ছি।
এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বাবুল চক্রবর্তী কথা বলতে রাজি হননি।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আনোয়ার আজীম বলেন, ‘অফিস সহকারী দিয়ে ক্লাস করানোর নিয়ম নেই। এর আগেও তাকে নিষেধ করা হয়েছে। বিষয়টি আমরা সরজমিন গিয়ে দেখবো।’
ইএইচ