বাজিতপুরে ‘রক্ত দিয়ে গোসল’ করে লাশ ৯ টুকরো করার হুমকি

বাজিতপুর (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি প্রকাশিত: নভেম্বর ১৯, ২০২৪, ১২:০১ পিএম

অশ্লীল গালিগালাজ, রক্ত দিয়ে গোসল করা, রাস্তাঘাটে পাইলে খুন, জখম ও লাশ নয় টুকরো করার কথা বলে প্রতিপক্ষকে মুঠোফোনে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এক যুবকের বিরুদ্ধে।

কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলার পিরিজপুর ইউনিয়নের সুলতানপুর গ্রামের মো. ইষাদ মিয়ার পুত্র মো. সেলিমের (৩০) বিরুদ্ধে  পার্শ্ববর্তী কটিয়াদী উপজেলার তেলিচাড়া গ্রামের মৃত আ. হাফিজের পুত্র মো. সাইফুল ইসলাম এ অভিযোগ দায়ের করেছেন।

এ নিয়ে হুমকি প্রদানকারী সেলিমের বিরুদ্ধে জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৫ এ দন্ডবিধি ৩৮৫ ও ৫০৬ ধারায় মামলা করেছেন ভুক্তভোগী সাইফুল ইসলাম। মামলা নং সি ৭৬৪/২০২৪।

জানা যায়, গত ২৩ জুন (রবিবার) আনুমানিক দুপুর ২টার দিকে উপজেলার উজানচর গ্রামে পাকা রাস্তার পাশে বাবুল মিয়ার গ্যারেজে মটর সাইকেলে ব্যাগ রেখে দোকানের ভিতরে মালিকের সাথে খোশ গল্প করার এক পর্যায়ে অভিযুক্ত সেলিম সুকৌশলে ব্যাগ নিয়ে পালিয়ে যায়।

ব্যাগের ভিতর ভুক্তভোগীর দুটি ব্যাংকের চেক, মামলার মূল কাগজপত্রসহ গুরুত্বপূর্ণ অনেক ফটোকপি করা কাগজপত্র ছিল। পালিয়ে যাওয়ার সময় পিছু নিলেও তাকে ধরতে পারেনি সাইফুল ও সাথের লোকজন।

পরবর্তীতে অভিযুক্ত সেলিমের মুঠোফোন নাম্বারে কল দিলে সাইফুলকে গালিগালাজ করে সে। স্থানীয় লোকজনসহ অনেক অনুরোধ করলেও ব্যাগটি ফেরত দেয়নি সে। সেলিমের দাবি তাকে পাঁচ লক্ষ টাকা দিলে ব্যাগসহ সকল ডকুমেন্টস ফেরত দিবে সে।

এরই জের ধরে গত ৮ সেপ্টেম্বরে আনুমানিক দুপুর ১২ টার দিকে অভিযুক্ত সেলিম ভুক্তভোগী সাইফুলকে মুঠোফোনে কল দিয়ে অশ্লীল গালিগালাজ ও প্রাণ নাশের হুমকি দেয়। কল রেকর্ডটি এ প্রতিবেদক ও ভুক্তভোগীর কাছে সংরক্ষণে আছে। বর্তমানে ভুক্তভোগী সাইফুল ইলাম প্রাণনাশসহ বড় ধরনের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কায় আছে।

এ নিয়ে অভিযুক্ত সেলিমের মুঠোফোন নাম্বারে কল দিলে প্রথমে পরিচয় ঠিকঠাক বললেও অভিযোগের বিষয়টি শুনার পর রং নাম্বার বলে কল কেটে দেন।

ভুক্তভোগী সাইফুল ইসলামের দাবি তার সাথে লিপি আক্তার নামে এক নারীর একাধিক মামলা আদালতে চলমান রয়েছে। ওই মামলাগুলোর সমস্ত প্রমাণপত্র তার ব্যাগে ছিল। তাকে বিপদে ফেলতে ও প্রমাণপত্রগুলো বিনষ্ট করতেই সেলিম এ কাগজপত্রের ব্যাগটি কৌশল করে নিয়ে পালিয়ে যায়।

তিনি আরো বলেন, লিপি আক্তারের সাথে সেলিমের পরিচয় আছে। তাকে মামলায় সুবিধা পাইয়ে দিতেই তার প্রমাণপত্রগুলো লোপাটের জন্য এ কাজটি করে সেলিম।

ভুক্তভোগী ও নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয়দের দাবি, অভিযুক্ত সেলিমের নামে একাধিক মামলাসহ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে একটি ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে মামলা চলমান আছে। মামলা নং ৯৩/২০২৪।

বিআরইউ