পাবনায় আমন উৎপাদনে খরচ বেড়েছে

সফিক ইসলাম, পাবনা প্রকাশিত: নভেম্বর ২২, ২০২৪, ০৪:১৩ পিএম

পাবনার মাঠে মাঠে আমন ধান কাটা ও মাড়াই চলছে পুরোদমে। টানা খরা অতিবৃষ্টিসহ নানা প্রতিকূলতা কাটিয়ে সোনালি ফসল ঘরে তুলতে ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষিরা। এবার আমন ধানের ভালো ফলন হয়েছে। ধান চাষের উপকরণের দাম বৃদ্ধিতে উৎপাদন খরচ বেড়েছে। সে তুলনায় ধানের দাম বাড়েনি।

হাট-বাজারে ধান বিক্রি করতে তাদের প্রতিমণে চার কেজি ধলতা দিতে হয়। এতে বাজার দর কম হলে লোকসান গুনতে হয় বলে জানিয়েছে চাষিরা।

বিভিন্ন হাটে গিয়ে জানা যায়, আমন ধান প্রতি মণ বিক্রি হচ্ছে এক হাজার ৪০০ থেকে এক হাজার ৪৫০ টাকা আর চিকন মানের ধান বিক্রি হচ্ছে এক হাজার ৫০০ টাকা দরে।

চাষিরা জানায়, গত বছর এ সময়ে মোটা ধানের দর ছিল এক হাজার ৩০০ থেকে এক হাজার ৪০০ টাকা মণ। মোটামুটি চিকন জাতের ধান ছিল প্রতি মণ এক হাজার ৫০০ টাকা। কিন্তু এক বছরে চাষাবাদে যে খরচ বেড়েছে সে অনুপাতে দাম বাড়েনি।

তারা বলছেন, অনেকের ধারণা ধানের দাম অনেক বেড়েছে। কিন্তু তারা হিসাব করছে না, এক বিঘা জমিতে ধান চাষ করতে খরচ কত বেড়েছে।

জমি লিজ নেয়া চাষি জাভেদ মিয়া জানান, জমির মালিককে বছরে লিজ বাবদ দিতে হয় ১৫ হাজার টাকা। গড়ে প্রতিমণ ধান এক হাজার ৪৫০ টাকা দরে বিক্রি করলেন। এ দামে তাদের লাভ তো দরের কথা, লোকসান গুনতে হয়েছে।

ফরিদপুর উপজেলার ডেমরা গ্রামের ধানচাষি রমজান মোল্লা বলেন, এবার ধান আবাদে খরচ অনেক বেড়ে গেছে। কারণ ধান চাষে সেচ খরচ বেড়েছে। সার-কীটনাশকের দাম, শ্রমিক মজুরি বেশি। তাই সেই জমি ছেড়ে দিয়েছেন।

পাথালিয়াহাট গ্রামের চাষি রজব আলী জানান, ধান আবাদ করে লাভ খুব কমে গেছে। সব কিছুতেই খরচ বেড়েছে। সে অনুপাতে ধানের দাম বাড়েনি।

ধান মাড়াই যন্ত্রের মালিক সাইদুল জানান, গতবছর তারা প্রতি মণ ধান মাড়াই করে আড়াই কেজি ধান নিয়েছেন। এবার নিচ্ছেন প্রতি মণে ৪ কেজি।

এবার জেলায় আমনের ফলন ও ভালো দাম পাওয়ায় চাষিরা খুশি। তারা আমন ধান কেটে রবি ফসল আবাদের প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে পাবনা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে।

ইএইচ