নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার মশিন্দা ইউনিয়নের ঐতিহ্যবাহী কাছিকাটা স্কুল অ্যান্ড কলেজে দেখা মিলেছে এক বিরল প্রজাতির ১১ মাথাওয়ালা নারিকেল গাছের। স্থানীয়রা এটিকে আল্লাহর কুদরতি গাছ হিসেবে বিবেচনা করছেন।
শনিবার (২৩ নভেম্বর) সরেজমিনে দেখা যায়, গাছটির মোট ১২টি মাথা থাকলেও একটি মাথা শুকিয়ে নষ্ট হয়ে গেছে। বাকি ১১টি মাথা সবুজ আর প্রাণবন্ত অবস্থায় রয়েছে। এ ধরনের নারিকেল গাছ এলাকায় প্রথমবারের মতো দেখা গেছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।
কাছিকাটা স্কুল অ্যান্ড কলেজের সাবেক ছাত্র ও মশিন্দা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল বারী জানান, ‘আমাদের ছাত্রজীবনে মরহুম সরফাতুল্লাহ তালুকদার এই স্কুলের সভাপতি থাকার সময় গাছটি রোপণ করেছিলেন। বর্তমানে গাছটির ১১টি মাথা রয়েছে। এটি বিরল এবং অসাধারণ একটি গাছ। গাছটি সংরক্ষণ ও যথাযথ পরিচর্যার প্রয়োজন।’
বিরল এ নারিকেল গাছ দেখতে দূরদূরান্ত থেকে অনেক মানুষ ভিড় জমাচ্ছেন। এলাকাবাসীর মধ্যে এ নিয়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয়রা মনে করেন, এটি প্রকৃতির এক অদ্ভুত সৃষ্টি এবং সঠিকভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করা হলে এটি পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
এ বিষয়ে কাছিকাটার কৃতি সন্তান ও ঐ স্কুলের প্রাক্তন ছাত্র, বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক (অব.) মো. আবদুর রহীম বলেন, গাছটির মূলত ১৩ টি মাথা ছিল, যে মাথাটি শুখিয়ে নষ্ট হ`য়ে গেছে ওটার সাথে আরো একটি মাথা নষ্ট হওয়ায় এখন ১১ টি মাথা দেখা যাচ্ছে। পরিবেশবিদদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন গাছটির পরিচর্যা এবং সংরক্ষণে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার জোর দাবি জানান তিনি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার সালমা আক্তার বলেন, বিরল প্রজাতির গাছটির পরিচর্যা এবং সংরক্ষণে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
বিআরইউ