বিজয়নগরে কাজের ধীর গতির জন্য যানজট, ভোগান্তি চরমে

বিজয়নগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি প্রকাশিত: নভেম্বর ২৫, ২০২৪, ০৫:০৪ পিএম

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার চান্দুরা-সিঙ্গারবিল প্রধান সড়কের আমতলী বাজারে দীর্ঘদিন যাবত যানজটের কারণে ভোগান্তিতে সর্বস্তরের জনগণ।

ঢাকা সিলেট হাইওয়ে রোড় থেকে চান্দুরা ডাকবাংলা টু আখাউড়া স্থলবন্দর রোডের উপর আমতলী বাজার অবস্থিত। বাজারের রাস্তার পূর্বপাশ দিয়ে সরকারি বরাদ্দে প্রায় ৬৭ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ৬০২ মিটার দৈর্ঘ্যে ও ২ফিট প্রস্থে একটি ড্রেইনের কাজ শুরু হয়। ড্রেইনটি আরএস কনস্ট্রাকশন নামক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজ শুরু করেন।

গত ২৪শে অক্টোবর কাজটি শুরু করে এক মাস অতিবাহিত হলেও কাজের তেমন অগ্রগতি নেই। কিন্তু কাজের সরঞ্জাম রাস্তা দখল করায় যানজট বৃদ্ধি পেয়েছে। আমতলী বাজার উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ বাজার হওয়ায় এতে জনসমাগম বেশি এবং সারাবছর যানজট লেগেই থাকে। ড্রেনের কাজের অগ্রগতি না থাকায় এই দুর্ভোগ প্রকট আকার ধারণ করেছে। এ যেন মরার উপর খাঁড়ার ঘা।

ঠিকাদারের এমন ধীরগতির ও এলোমেলো কাজের কারণে প্রতিদিনের ভোগান্তিতে সকল শ্রেণির যানবাহন ও হাজারো মানুষ।

আরএস কনস্ট্রাকশন নামক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি আমানুল্লাহ জানান, কাজ করলে স্থানীয় জায়গায় জনগণের কিছুটা দুর্ভোগ হয়। তার পরেও সাব কন্টাক্ট ব্যক্তিগত সমস্যার কারণে ৩/৪ দিন কাজের অগ্রগতি কম হয়েছে। আজ থেকে দ্রুত গতিতে আগামী ৩ দিনের মধ্যে কিছুটা দুর্ভোগ কমানোর জন্য রাতে কাজ করার উদ্যোগ গ্রহণ করব।

সাধারণ জনগণের দাবি, ৬০২ মিটার ড্রেইন কয়েকটি অংশে বিভক্ত করে কাজটি শুরু করা দরকার। যেহেতু ড্রেইনটি মেইন রোডে সেক্ষেত্রে অতিরিক্ত জনবল দিয়ে দ্রুত কাজটি সমাধান করার দরকার ছিল। ঠিকাদারের এমনই গাফিলতিতে সপ্তাহে দুই এক দিন কাজ করে। বর্তমানে এই অবস্থায় আমতলী বাজার পার হতে প্রতিটি যানের প্রায় ২ থেকে ৪ঘন্টা লেগে যায়।

এ বিষয়ে বিজয়নগর উপজেলা উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোস্তাফিজুর রহমান চেরাগী জানান, এখন পর্যন্ত ২০% কাজ হয়েছে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে বার বার মৌখিক নির্দেশনা দেওয়ার পরেও অগ্রগতি না হওয়ায় বিষয়টা আমরা গুরুত্বের সাথে দেখছি। এবং ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে চিঠি দিয়ে দ্রুত কাজটি সমাধান করার তাগিদ দেওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছি।

আরএস