অভয়নগরে খেজুরের গাছ পরিচর্যায় ব্যস্ত গাছিরা

অভয়নগর (যশোর) প্রতিনিধি: প্রকাশিত: নভেম্বর ২৮, ২০২৪, ১২:৫১ পিএম

যশোরের যশ খেজুরের রস। যশোরের অভয়নগর উপজেলায় প্রায় প্রতিটি গ্রামের ঘরে ঘরে শুরু হবে গুড় পাটালির উৎসব, বাড়িতে বাড়িতে চলবে খেজুরের রস জ্বালিয়ে পিঠা পায়েস সহ হরেক রকমের খাবারের ধুম। মৌসুম শুরু হতে না হতেই গাছিরা দড়ি, দা, ঠুঙিসহ গাছ তোলার প্রয়োজনীয় জিনিস নিয়ে গাছ তোলায় ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। রস সংগ্রহের পূর্ব প্রস্তুতি হিসেবে খেজুর গাছের আগায় তোলা দেওয়ার কাজ চলছে। গাছি দা দিয়ে খেজুর গাছের মাথার সোনালি অংশ বের করা হয়। যাকে যশোরের ভাষায় বলা হয় গাছ তোলা।

নবান্নের শীতের আমেজ শুরু হয়েছে। তাই প্রতি বছরের মতো উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের প্রায় ৮’শত গাছীরা গাছতোলা শুরু করেছেন। ৮ থেকে ১৪ দিন পর নোলন স্থাপনের মাধ্যমে শুরু হবে সুস্বাদু খেজুর রস আহরণের মূল কাজ। এর কিছু দিন পরই গাছে দেওয়া হবে মাটির পাতিল। সংগ্রহ করা হবে মিষ্টি খেজুরের রস। যশোর জেলার খেজুরের রস, গুড় পাটালির জন্য বিখ্যাত হওয়ায় গর্ববোধ করে স্থানীয়রা।

এই মৌসুমে খেজুরের রস দিয়ে গ্রামীণ জনপদে শুরু হয় শীতের আমেজ। শীত যত বাড়বে, খেজুর রসের মিষ্টি ও ততো বাড়বে। শীতের সবচেয়ে বড় আকর্ষণ দিনের শুরুতে খেজুরের রস, সন্ধ্যার রস ও খেজুরের গুড় পাটালি। পিঠা ও পায়েস তৈরিতে আবহমান কাল থেকে খেজুরের গুড় ওতপ্রোতভাবে জড়িত।

উপজেলার সিদ্ধিপাশা গ্রামের তৈবুর রহমান বলেন, দীর্ঘ ৩০ বছর ধরে খেজুরের রস সংগ্রহ করি। আমাদের যশোরের খেজুরের রস খুব নাম করা। শহর থেকে আমার রস ও গুড় কিনতে অনেক মানুষ ছুটে আসে। এতে করে আমার অনেক লাভ হয়।

উপরজলার একতারপুর গ্রামের নজরুল ঢালী বলেন, গত বছর আমি ৩০০ খেজুরের গাছ কেটেছিলাম। অনেক লাভ হয়েছিল আমার। এই জন্য এই বছর আরো বেশি গাছ কাটব।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা লাভলী খাতুন বলেন, অভয়নগর উপজেলায় ৩৩ হাজার রস আহরণ কারি খেজুরের গাছ রয়েছে। যা থেকে প্রায় ৪০০ মেট্রিক টন গুড় উৎপাদন হবে। আমরা গাছিদের সহযোগিতা করে যাচ্ছি।

বিআরইউ