প্রতিবছর বন্যার পানিতে তলিয়ে নষ্ট হয়ে যায় টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরের যমুনা চলাঞ্চলের ফসল। আর এই বন্যার ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে যমুনার বুকে জেগে উঠা বিস্তীর্ণ চরাঞ্চলের বাদাম চাষ করে থাকেন স্থানীয় কৃষকরা।
কম খরচে অধিক লাভজনক হওয়ায় প্রতিবছর চরাঞ্চলের বৃদ্ধি পাচ্ছে বাদামের আবাদ। কৃষি বিভাগের পক্ষে থেকে বাদাম চাষিদের বীজ, সারসহ দেয়া হচ্ছে সবধরনের সহযোগিতা।
এখানকার চরাঞ্চলের বেলে মাটি বাদাম চাষের জন্য খুবই উপযোগী। বীজ রোপণে দুই থেকে তিন মাসের মধ্যেই বাদাম তুলে সংগ্রহ ও হাট-বাজারে বিক্রি করা যায়। সুস্বাদু, মুখরোচক ও ভিটামিনসমৃদ্ধ এই ফসল একদিকে যেমন খাদ্যে জোগান দিয়ে থাকে অন্যদিকে তেলের চাহিদা পূরণ করে।
সরজমিনে দেখা যায়, পানি শুকিয়ে যমুনার বুকে গেছে উঠেছে ছোট-বড় অসংখ্য বালুচর। আর এই জেগে উঠা বিস্তীর্ণ চরাঞ্চলের ধু-ধু বালুচরে ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত জমি প্রস্তুত ও বাদামের বীজ বপনে ব্যস্ত সময় পাড় করছেন চরাঞ্চলের কৃষকরা।
উপজেলার গাবসারা, অর্জুনা, গোবিনদাসী ও নিকরাইল ইউনিয়নের চরাঞ্চল বাদাম গাছের সবুজ পাতায় ছেয়ে গেছে।
গত বছর বাদামের বাম্পার ফলন হওয়ায় এবং স্থানীয় হাট-বাজারে ভালো দাম পাওয়ায় বাদাম চাষে আগ্রহী হচ্ছেন চরাঞ্চলের চাষিরা। চলতি বছরে যমুনা চরাঞ্চলের এক হাজার ৭৫০ হেক্টর জমিতে বাদাম চাষ করা হয়েছে।
আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে বাদামের বাম্পার ফলন সহ দ্বিগুণ লাভবান হবে বলে মনে করছেন চরাঞ্চলের বাদাম চাষিরা।
যমুনা চরাঞ্চলে চিনা বাদামের উৎপাদন বৃদ্ধি জন্য উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন বলে জানান উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মোখলেছুর রহমান।
ইএইচ