দেবহাটার বাজারে প্রায় সব ধরনের সবজি বিক্রি হচ্ছে উচ্চমূল্যে। শীতের সবজির সরবরাহ বাড়লেও বিভিন্ন হাট বাজারগুলোতে সবজির দাম বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে।
যার প্রেক্ষিতে নিম্ন আয়ের মানুষসহ সর্ব শ্রেণির মানুষের মাঝে বেড়েছে ভোগান্তি।
উপজেলা কুলিয়া বাজার, বহেরা বাজার, পারুলিয়া পশুহাট বাজার, সখিপুর বাজার, গাজীরগাট বাজার, ঈদগাহ হাট-বাজার, দেবহাটা বাজার, টাউনশ্রীপুর বাজারসহ বিভিন্ন হাট-বাজারে সবজির দাম বাড়ার কারণে প্রতিনিয়তই বাজারে এসে হিমশিম খেতে হচ্ছে ক্রেতাদের। ক্রেতাদের মাঝে অস্বস্তি দেখা দিয়েছে।
সরেজমিনে বাজার বাজার ঘুরে দেখা যায়, সবজির বাজারে দীর্ঘদিন ধরে চলছে এই অস্থিরতা। সবজির বাজার চড়া বলে দাবি বিক্রেতাদের।
তবে এক এক বাজারে দাম ৫-১০ টাকা কম বেশি লক্ষ্য করা যায়। বাজারে প্রায় সব ধরনের সবজি বিক্রি হচ্ছে উচ্চ মূল্যে।
প্রতি কেজি আলু ৮০ টাকা, বেগুন ৯০ টাকা, পেঁয়াজ ১০০ টাকা, ঢেরস ৫০ টাকা, কাঁচা পেঁপে ৪০ টাকা, রসুন ২২০ টাকা, পটল ৬০ টাকা, সীম ৯০ টাকা, ফুলকপি ৯০ টাকা, গাজর ১৮০ টাকা, বাঁধাকপি ৫০ টাকা, মুলা ৪০ টাকা, ওলকপি ৮০ টাকা, টমেটো ১০০ টাকা কেজি, পালংশাক প্রতি আঁটি ২০ টাকা, লাল শাক ১০ টাকা, লাউ প্রতি পিস ৪০-৫০ টাকা বিক্রয় হচ্ছে।
এ ছাড়া সরিষার তেল প্রতি কেজি ২২০ টাকা, সয়াবিন তেল ২০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। সবজির পাশাপাশি বিভিন্ন মাছ, মাংস, মুরগিসহ চালের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে।
ঈদগাহ বাজারের দোকানি আব্দুর রাজ্জাক জানান, এই সময়ে শাক-সবজির দাম কম থাকার কথা থাকলেও সরবরাহ কম এবং আড়ত থেকে আমাদের বেশি দামে কিনতে হয়। যে কারণে আমাদের বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।
আলু, পেঁয়াজ, রসুন ব্যবসায়ী দাউদ আলী জানান, আড়ত থেকে বেশি দামে কিনতে হচ্ছে তাই বাধ্য হয়ে বেশি দামে বিক্রিও করতে হচ্ছে।
সখিপুর বাজারে বাজার করতে আসা ভ্যানচালক বাবলুর রহমান বলেন, আমাদের আয় কম থাকায় প্রতিদিনই বাজার করতে হয়। দ্রব্যমূল্যের উদ্ধগতির ফলে আয়ের চেয়ে ব্যয় বেশি হওয়ায় বাজার করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।
সখিপুর বাজার কমিটির সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম জানান, শাক-সবজি, চাল, মাছ, মাংসের দাম নিত্যদিনই বৃদ্ধি পাওয়ায় মধ্য ও নিম্ন আয়ের মানুষ দুর্বিষহ জীবন যাপন করছেন। ব্যবসায়ীদের উচিত সিন্ডিকেট ভেঙে নিয়ে দ্রব্য মূল্যের দাম কমিয়ে নিয়ে আসা।
ইএইচ