তাড়াইলে ব্রিজের মাঝে গর্ত, ঝুঁকি নিয়ে চলাচল

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি: প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১২, ২০২৪, ০৫:০৫ পিএম

কিশোরগঞ্জের তাড়াইল-করিমগঞ্জ সড়কের করাতি নামকস্থানে নরসুন্দা নদীর ওপর স্থাপিত ব্রিজটির বয়স মাত্র ২৭ বছর। গত কয়েক বছর ধরে এটি বেহাল অবস্থায় রয়েছে। ইদানীং ব্রিজের মাঝখানে গর্ত হয়ে গেছে। তবুও ঝুঁকি নিয়ে চলছে যানবাহন।

গতকাল বুধবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, তাড়াইল-করিমগঞ্জ সড়কের করাতি নামকস্থানে নরসুন্দা নদীর ওপর ৩ লাখ ৫৭ হাজার ৫০৭ টাকা ব্যয়ে ব্রিজটি করে এলজিইডির। ব্রিজের কাজ সমাপ্ত হয়েছিল ১৯৯৭ সালের ৪ ডিসেম্বর।

করাতী গ্রামের আবদুস সামাদ, আফতু মিয়া, নুরুল ইসলাম, শহীদুল ইসলাম ও জুলহাস ভুঁইয়াসহ এলাকাবাসীর অভিযোগ- ব্রিজটি নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে তৈরি করায় ও বড় বড় বালুর ট্রাক যাতায়াতের কারণে সহজে এর মাঝখানে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। গত কয়েকদিন যাবৎ আতঙ্ক নিয়ে ব্রিজটি পাড়ি দিতে হয়। ব্রিজের মাঝখানের গর্ত ক্রমশ বড় হচ্ছে।  দু’টি যানবাহন একসাথে চলাচল করতে পারছে না। যেকোনো সময় এটি ভেঙ্গে পড়ে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

একাধিক সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালক জানান, ব্রিজটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়া সত্ত্বেও বড় ট্রাক, ট্রাক্টর বালু বহন করে এর ওপর দিয়ে চলাচল করছে। এতে যেকোনো সময় ব্রিজটি ধসে পড়তে পারে। তারা আরও বলেন, তাড়াইল-করিমগঞ্জে যাতায়াতকারী বিশাল জনগোষ্ঠী ও এ অঞ্চলের হাজার হাজার মানুষ জেলার বাকি উপজেলাগুলোর সঙ্গে যে কোন সময় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়তে পারে।

দিগদাইড় ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ইসলাম উদ্দিন জানান, ১৯৯৭ সালে নরসুন্দা নদীর ওপর এই ব্রিজটি নির্মাণ করা হলেও বেশি দিন টিকেনি। ব্রিজের সাইড দেবে গেছে এবং মাঝখানে গর্ত হয়েছে। ফলে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে ব্রিজটি। ওই এলাকার একাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিশু শিক্ষার্থীরাও চরম ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করছে।

উপজেলার দিগদাইড় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আশরাফুল ইসলাম আসাদ জানান, ব্রিজটি নির্মাণ করা হয়েছে ২৭ বছর পূর্বে। এই মধ্যে ব্রীজের অধিকাংশ অংশ খসে পড়েছে, নতুন করে ব্রিজের মাঝখানে গর্ত হওয়ায় আরো ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। যে কারণে স্বাভাবিকভাবে গাড়ি চলাচল করতে পারছে না। তিনি আরও বলেন, আমি সরেজমিনে গিয়ে ব্রিজটি দেখে আসেছি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও এলজিইডি কর্মকর্তার সাথে এ বিষয়ে অতিদ্রুত সাক্ষাতে কথা বলব।

উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) ইঞ্জিনিয়ার জাহিদুল হাসান জানান, বিষয়টি আমার নজরে আসায় আমি লোক পাঠিয়ে পর্যবেক্ষণ করিয়েছি। চলতি বছর উপজেলার উন্নয়ন তহবিলের বরাদ্দ থেকে সংস্কার করা হবে। তিনি আরও বলেন, ব্রিজটি ঝুঁকিপূর্ণ মর্মে রাস্তার দুই পাশে সর্তকবাণীর সাইনবোর্ড টানানো হবে। ভারি যানবাহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা করা হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু বক্কর সিদ্দিকী বলেন, বিষয়টি আমি জেনেছি। সরেজমিনে পরিদর্শন শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

বিআরইউ