পাকুন্দিয়ায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর, ভর্তি শঙ্কায় তিন শতাধিক শিক্ষার্থী

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২১, ২০২৪, ০৪:০০ পিএম

কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় ‘চাইল্ড কেয়ার মডেল স্কুল’ নামের একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর করেছে দুর্বৃত্তরা।

এতে ভর্তি ও লেখা পড়া নিয়ে শঙ্কায় আছেন তিন শতাধিক শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা।

গত রোববার উপজেলার চরকাওনা ইউনিয়নের চরকাওনা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ বিষয় জেলা প্রশাসক বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ভুক্তভোগী প্রধান শিক্ষক।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, স্কুলটির প্রতিষ্ঠাতা প্রধান শিক্ষক মো. মফিজুল ইসলাম পার্শ্ববর্তী বাড়ির মো. রইছ উদ্দিনের নিকট থেকে ২টি দাগে ২৫ শতাংশ জমি ইজারা নিয়ে এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি প্রতিস্থাপন করেন। পরবর্তীতে আর এস ১৩৯০নং খতিয়ানে ১৪৭৫৭নং দাগে ৮ শতাংশ জমি নকশাঙ্কিত ৪১৮নং রেজিস্ট্রি দলিল মূলে ও ২ শতাংশ জমি বায়না দলিলমূলে মোট ১০ শতাংশ জমি মালিকানা প্রাপ্ত হয়ে এ পর্যন্ত ভোগ দখল করিয়া আসিতেছে।

সম্প্রতি একই গ্রামের মৃত রইছ উদ্দিনের ছেলে আশরাফুল আলম, নূর হোসেন ও মোফাজ্জেল হোসেন ৫ শতাংশ জমি দাবি করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটিতে ঢুকে ভাঙচুর করে ও সীমানা প্রাচীর দিয়ে আবদ্ধ করে রাখে।

স্কুলটির প্রতিষ্ঠাতা প্রধান শিক্ষক মো. মফিজুল ইসলাম বলেন, পার্শ্ববর্তী বাড়ির মো. রইছ উদ্দিনের নিকট থেকে আমি ২টি দাগে ২৫ শতাংশ জমি ইজারা নিয়ে এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি প্রতিস্থাপন করেন। পরবর্তীতে আর এস ১৩৯০নং খতিয়ানে ১৪৭৫৭নং দাগে নকশাঙ্কিত করে ও আরও ২ শতাংশ জমি বায়না দলিলমূলে মোট ১০ শতাংশ জমির মালিকানা হই। হঠাৎ রইছ উদ্দিনের ছেলে ৫ শতাংশ জমি পাবে বলে আমার স্কুলটি দখল করে এবং ভাঙচুর চালায়। আমার এখানে ৩২৮ জন শিক্ষার্থী লেখা পড়া ও ১৪ জন শিক্ষকের বেতনভাতা নিয়ে আমি অনেক বিপাকে আছি। আমি সরকার ও প্রশাসনের মাধ্যমে এর প্রতিকার চাই।

এ ব্যাপারে প্রতিপক্ষ মো. আশরাফুল আলম জানান, ১৪৭৫৭নং দাগে আমার বাবা ৫ শতাংশ জমি আছে। প্রধান শিক্ষক ভাড়া দিবে বলে এতদিন সে ভোগদখল করে নিছে। এখন আমাদের জায়গা আমরা দখল করেছি। আর ভাঙচুরের ঘটনা তিনি অস্বীকার করেন।

এ বিষয় উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. ওমর ফারুক ভূঞা বলেন, বিষয়টি নিয়ে জেলা শিক্ষা অফিসার অবগত আছেন। জেলা শিক্ষা অফিসার অ্যাকাডেমিক সুপারভাইজারকে তদন্তের দায়িত্ব দিয়েছেন। আমি যতটুকু জানি প্রতিপক্ষ স্কুলটি দখল করে নিয়েছে। স্কুলের ভিতরে বেড়া দিয়ে ফেলছে। আমি অ্যাকাডেমিক সুপারভাইজারকে বলব বর্তমানে স্কুলের যে ভাঙচুরের ঘটনা ও সীমানা প্রাচীর দিয়ে আবদ্ধ করে রেখেছে এগুলোসহ তদন্ত করতে। আমি চাই একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান টিকে থাকুক। এতে একদিকে যেমন গ্রামে শিক্ষার হার বাড়বে; তেমন শিক্ষকদেরও কর্মসংস্থান হবে।

এ বিষয় পাকুন্দিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাখাওয়াত হোসেন বলেন, ভাঙচুরের বিষয় আমি একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্তসাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ইএইচ