পর্যটকদের পদচারণায় মুখরিত জাফলং

শাহজাহান সেলিম বুলবুল, সিলেট প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২৫, ২০২৪, ০২:৩৮ পিএম

শীতকালীন অবকাশ ও বিজয় দিবসের ছুটিতে সিলেটের জাফলংয়ে পর্যটকদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছে।

যেকোনো ছুটিতে সিলেটের দর্শনীয় স্থানগুলোতে ভিড় বাড়ে পর্যটকদের। ব্যতিক্রম নয় এবারও শীতকালীন অবকাশ ও বিজয় দিবসের ছুটিতে।

সিলেটের পর্যটন স্পটগুলো এখন পর্যটককে সরগরম। তাই দীর্ঘদিনের মন্দাভাব কাটিয়ে চাঙা হচ্ছে সিলেটের পর্যটন অর্থনীতির।

সরেজমিনে দেখা যায়, ডিসেম্বর মাসের ছুটিতে পরিবার-পরিজন, বন্ধু-বান্ধব মিলে শীত ও বিজয় দিবসের আনন্দকে ভাগাভাগি করতে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে সিলেটে ছুটে যাচ্ছেন পর্যটকরা। জাফলং জিরোপয়েন্ট ঘেঁষা ভারতীয় ঝুলন্ত ব্রিজ, ফাটাছড়া মায়াবী ঝর্ণাসহ সিলেটের নান্দনিক পর্যটন স্পট সমূহে যেদিকে চোখ যায় শুধু পর্যটকের পদচারণা। খোশ মেজাজে পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরাও। বেড়েছে ব্যবসায়ীদের ব্যস্ততা নিজ নিজ দোকানে পর্যটক আকর্ষণে মামা আপা ম্যাডাম নামে উচ্চারিত হচ্ছে বাহারি হাঁকডাক।

প্রকৃতি কন্যা জাফলংয়ে সবুজ পাহাড় ঝুলন্ত ব্রিজ নুড়ি পাথরের ফাঁকে ফাঁকে প্রবাহিত হওয়া নীল স্বচ্ছ জলরাশিতে বিমোহিত পর্যটকরা। বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী, শিক্ষার্থী, বন্ধুবান্ধব, পরিবার-পরিজন, কিশোর-কিশোরী, দেশে-বিদেশি পর্যটক সহ রয়েছেন মাদ্রাসা শিক্ষার্থীরাও। সংগ্রাম মায়াবী ঝর্ণা থেকে শুরু করে জাফলং চাবাগান পর্যন্ত পর্যটককে সরগরম।

ঢাকা থেকে আগত সোনিয়া দম্পতি বলেন, ইউটিউবে দেখেছি জাফলং একটা দর্শনীয় স্থান এই কারণে ডিসেম্বরের ছুটিতে স্বামীকে নিয়ে ঘুরতে আসা। আমার খুব ভালো লাগছে, জাফলংয়ের সবুজ প্রকৃতি, সবুজ পাহাড়, ঝুলন্ত ব্রিজ, স্বচ্ছ জল ও মায়াবী ঝর্ণা যে কাউকে মুগ্ধ করবে। তার স্বামী বলেন,ছাত্রবেলায় একবার এসেছিলাম তখন এতসব সৌন্দর্য ছিল না। এখন গৃহিণীকে নিয়ে এসেছি। দেখলাম নতুন নতুন সৌন্দর্য বৃদ্ধি পেয়েছে। তিনি বলেন, সিলেটের মানুষ পর্যটকদের জন্য হেল্পফুল। তাই এখানে আসতে ভালো লাগে। পর্যটক এলাকার মানুষকে পর্যটকদের জন্য হেল্পফুল হওয়াটাই প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেন এবং সেটা সিলেটের মানুষের মাঝে বিদ্যমান আছে।

হবিগঞ্জের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হেলেনা চৌধুরী বলেন, আমি জাফলং প্রথম এসেছি, এরকম সুন্দর হবে ভাবতে পারিনি অসাধারণ ভিউ। সিলেটের মধ্যে টুরিস্টেদের ঘুরে দেখার জন্য জাফলং একটি পারফেক্ট জায়গা। তিনি সকলের উদ্দেশ্যে বলেন, জীবনে একবার হলেও জাফলং এসে ঘুরে দেখার জন্য।

জাফলংসহ গোয়াইনঘাটের সব পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে পর্যটকদের নিরাপত্তা ও তাদের ভ্রমণ নির্বিঘ্ন করতে জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে নানা পদক্ষেপ।

জাফলং টুরিস্ট পুলিশের ইউনিট ইনচার্জ শাহাদাৎ হোসেন বলেন, সারা বছরই জাফলং পর্যটক থাকে এবং এবার শীতের ছুটিতে পর্যটকের আগমন বেড়েছে। উপজেলা প্রশাসন, থানা প্রশাসন ও আমাদের পক্ষ থেকে পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। পর্যটকদের নির্বিঘ্নে ভ্রমণে আমরা দায়িত্বশীলতার সাথে কাজ করছি।

ইএইচ