বোয়ালমারীতে পর্নোগ্রাফি চক্রের ২ নারী সদস্য আটক

বোয়ালমারী (ফরিদপুর) প্রতিনিধি প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২৬, ২০২৪, ০৪:৪৭ পিএম

ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে এক প্রবাসীর স্ত্রী পর্নোগ্রাফি চক্রের ফাঁদে পড়ে প্রায় ১২ লাখ টাকা খুইয়ে দিশেহারা হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছেন।

মামলা সূত্রে পর্নোগ্রাফি চক্রের দুই সদস্যকে আটক করেছে বোয়ালমারী থানা পুলিশ।

আটকরা হলেন- আলফাডাঙ্গা উপজেলার সিকিপাড়া গ্রামের দেলোয়ার হোসেন মোল্লার মেয়ে কাকলি বেগম (৩২) ও অপরজন কাশিয়ানী উপজেলার আদর্শ গ্রামের মো. ইউসুফ খানের মেয়ে তানিয়া খানম (৩২)।

মামলা ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার গুনবহা ইউনিয়নের হরিহরনগর গ্রামে প্রবাসী মিলন শিকদারের স্ত্রী সোনিয়া আক্তারের সাথে তানিয়া খানম সম্পর্কে বিয়াইন হওয়ার সুবাদে তাদের বাড়িতে যায়। পরে তানিয়া খানম ২২ সালের পহেলা জানুয়ারিতে সোনিয়ার স্মার্টফোন নিয়ে ব্যক্তিগত ভিডিও অন্য মোবাইলে নেয়ার পর সুপার এডিটিং করে অশ্লীল ভিডিও তৈরি করে। এরপর থেকে ওই ভিডিও নানা মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে ওই প্রবাসীর স্ত্রীর কাছ থেকে বিভিন্ন সময়ে ব্যাংক ও বিকাশের মাধ্যমে ১১ লাখ ৭০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়। এ প্রতারক চক্রের আরও ৪ সদস্য রয়েছে রয়েছেন।

বোয়ালমারী থানার উপপরিদর্শক শামীম দেওয়ানের নেতৃত্বে একটি টিম অভিযান পরিচালনা করে ঢাকা থেকে ২ প্রতারক নারীকে আটক করে। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে অপর এক আসামি বদিউল আলম তুহিন পালিয়ে যায়।

ভুক্তভোগী সোনিয়া আক্তার বলেন, তানিয়া খানম সম্পর্কে আমার বিয়াইন হয়। সে সম্পর্কে আমার শ্বশুর বাড়ি এসে মোবাইল থেকে ব্যক্তিগত ভিডিও নিয়ে সুপার এডিটিং করে। এরপর থেকে সে ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে ডকুমেন্টস অনুযায়ী ১১ লাখ ৭০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়। বর্তমানে এখন আরও ১০ লাখ টাকা দাবি করে। উপায় অন্তর না পেয়ে থানায় ৬ জনের নামে মামলা দায়ের করেছি।

উপপরিদর্শক মো. শামীম দেওয়ান সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, প্রবাসীর স্ত্রী ৬ জনের নামে মামলা দায়ের করেন। পরে অভিযান পরিচালনা করে তাদের দুজনকে ঢাকার যাত্রাবাড়ী রোজভ্যালি গার্ডেন থেকে আটক করা হয়। আমাদের যাওয়ার ১৫ মিনিট আগে বদিউল আলম তুহিন পালিয়ে যায়। বাকি আসামিদের আটকের প্রস্তুতি চলছে।

বোয়ালমারী থানার ওসি মো. গোলাম রসূল বলেন, দুজন আসামিকে আটক করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে আসামিদের আদালতে প্রেরণ করা হয়।

ইএইচ