ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে সরকারি মাটি যাচ্ছে বিভিন্ন খানাখন্দ ভরাটকাজে ও ইটভাটায়।
প্রশাসনের কোন অনুমতি ছাড়াই সরকারি মাটি যাচ্ছে বিভিন্ন জায়গায়। সাতৈর ইউনিয়নের কুন্ডুরামদিয়া গ্রামের কামরুল নামের এক মাটি ব্যবসায়ী মাটিকাটা ও পরিবহনের কাজ করছেন।
ঘটনাস্থল সাতৈর ইউনিয়নের পুন্ডুরামদিয়া খাড়াপাড়া গ্রামে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, কাদিরদী কলেজ থেকে ভাটদী সড়কে কমপক্ষে ১০-১২টি ট্রলি ও ড্রামট্রাক দিয়ে চলছে মাটি কাটার মহোৎসব। মাসখানেক আগে থেকে কাটা শুরু হয়েছে এই কুমার নদের স্তূপকৃত মাটি।
ট্রাকপ্রতি সাড়ে আটশ থেকে এক হাজার টাকা করে নেয়া হচ্ছে। কুমার নদের স্তূপ করা মাটি কামরুল চুক্তি করেছে একই গ্রামের মৃত শাহাজদ্দী শেখের ছেলে ফজলু শেখ ও মোফাজ্জল শেখের ৩০ শতাংশ এবং জোনাব আলী শেখের ছেলে ইলিয়াস শেখের ২৬ শতাংশ জমির মাটি।
এ ব্যাপারে মাটি ব্যবসায়ী কামরুলের মুঠোফোনে ফোন দিলে তিনি বলেন, আমি কাটাচ্ছি সরকারকে মাটি সরায় নিতে বলেন এবং যাদের মাটি তাদের বাপ দাদাদের চৌদ্দগুষ্টির ভেকু নেই আমার ভেকু আছে আমি মাটি কাটছি। আপনার যা করার থাকে তা করেন।
সাতৈর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. রাফিউল আলম মিন্টুর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি একটু ব্যস্ত আছি পরে ফোন দেই।
অপরদিকে একই ইউনিয়নের মহিশালা গ্রামের শাজাহানের ছেলে আমিরুল দীর্ঘদিন ধরে দাদপুর ইউনিয়নের কোনদারদিয়া গ্রাম থেকে ফসলি জমি কেটে বিভিন্ন জলাশয়, পুকুর ও ইটভাটায় মাটি দিচ্ছে। প্রায় চার কিলোমিটার দূরত্বে চারভাগ গ্রামের ইউনুস শেখের পুকুর প্রতি ট্রলি ১ হাজার টাকা করে নিচ্ছেন। তাতে ইউনুসের প্রায় ৪ লক্ষ টাকার মত লাগবে।
দাদপুর ইউপি চেয়ারম্যান মো. মোশাররফ হোসেন বলেন, এই অবৈধ ট্রলির কারণে গ্রামীণ সড়ক নষ্ট হওয়াসহ কমে যাচ্ছে ফসলি জমি। এ ব্যাপারে আমাদের সোচ্চার হতে হবে।
জানতে চাইলে বোয়ালমারী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট গোলাম রাব্বানী সোহেল বলেন, কুমার নদীর সরকারি যে মাটি স্তূপ করা রয়েছে সেটা টেন্ডার দেওয়ার দায়িত্ব ইউএনও স্যারের।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানভীর হাসান চৌধুরী বলেন, অবৈধভাবে মাটি কাটতেছে এবং অবৈধ টলি চলতেছে জানতে পারছি। আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ইএইচ