মাদারীপুরের কালকিনিতে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে ইউপি সদস্যসহ ৩ জন নিহত হয়েছেন।
এ ঘটনায় আরও ১৫ জন আহত হয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে পুলিশ, র্যাব ও সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
শুক্রবার সকালে উপজেলার বাঁশগাড়ি ইউনিয়ন এ ঘটনা ঘটেছে।
এতে উভয়পক্ষের ২০-৩০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের উদ্ধার করে মাদারীপুর ও শরীয়তপুরের বিভিন্ন হাসপাতাল ও ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানায়, এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে কালকিনি উপজেলার বাশগাড়ি ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান সুমনের সাথে ৮নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আখতার শিকদারের দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। এই বিরোধ নিয়ে এর আগেও এলাকায় বেশ কয়েকটি হত্যাকাণ্ড ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনার মামলায় দীর্ঘদিন এলাকা ছাড়া ছিল আখতার শিকদারের পরিবার।
বৃহস্পতিবার রাতে আখতার শিকদার ও তার ছেলে মারুফ শিকদার এলাকায় ফিরলে বেশ কিছু হাত বোমার বিস্ফোরণ ঘটে।
এ সময় ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমানের লোকজন মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে জড়ো হয়।
পরে দু’পক্ষের সংঘর্ষ চলে রাতভর। এ সময় সংঘর্ষে আখতার শিকদার ও তার ছেলে মারুফ শিকদার ধারালো অস্ত্রের আঘাতে ঘটনাস্থলেই মারা যায়। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে গুরুতর আহত সিরাজ চৌকিদারকে ঢাকা মেডিক্যালে নেওয়ার পথে তিনিও মারা যায়।
এ বিষয়ে মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সংঘর্ষে আখতার শিকদার নামে ইউপি সদস্য ও তার ছেলে মারুফ নিহত হয়েছে। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে নেওয়ার পথে সিরাজ চৌকিদার নামে আরেকজন নিহত হন। আরও কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর। এলাকায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ, র্যাব ও সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
ইএইচ