যেদিকেই চোখ যায় শুধু মানুষ আর মানুষ। নির্ধারিত সময়ানুযায়ী, বয়ান দেওয়ার জন্য রাত ৮টায় মঞ্চে ওঠার কথা মিজানুর রহমান আজহারীর। তবে দুপুর থেকেই লোকে লোকারণ্য মাহফিল চারপাশ। যদিও সকাল থেকেই আসতে শুরু করে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা।
তাফসির ময়দানস্থলে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে আয়োজক কমিটি ও প্রশাসন। জনপ্রিয় ইসলামী আলোচক মিজানুর রহমান আজহারী আজ রাত ৮টার দিকে হেলিকপ্টারে চড়ে পেকুয়া আসার কথা রয়েছে এবং তিনি রাত ১০টায় আলোচনা করবেন।
বিগত আওয়ামী লীগ সরকার মিজানুর রহমান আজহারীকে মাহফিল করতে না দেওয়া ও দেশত্যাগে বাধ্য করা হয়েছিল। জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের পর এই প্রথম ঢাকার বাইরে মাহফিল হওয়ায় দূরদূরান্ত থেকে পেকুয়ার ওয়াজ মাহফিলে লাখ লাখ ধর্মপ্রাণ মানুষের জমায়েত হয়েছে।
মাহফিল কমিটির সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মিজানুর রহমান আজহারী ছাড়াও জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদসহ জনপ্রিয় ইসলামিক বক্তারা বক্তব্য রাখবেন।
ইতোমধ্যে কক্সবাজারে নিরাপত্তার বিষয়টি সামনে এনে জেলা পুলিশের ১০০ সদস্যের বিশেষ টিম পেকুয়ায় অবস্থান করছে। মাহফিলে আসা মুসল্লিদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে পুলিশের এ বিশেষ টিম কাজ করছে। পুলিশের পাশাপাশি গোয়েন্দা সংস্থা, সেনাবাহিনী, র্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সাদা পোশাকে বিশেষ নজরদারিতে রয়েছেন।
এ বিষয়ে পেকুয়া থানার ওসি মোহাম্মদ সিরাজুল মোস্তফা বলেন, পেকুয়ায় বাংলাদেশের আলোচিত ও জনপ্রিয় ইসলামিক বক্তা মিজানুর রহমান আজহারীর মাহফিলে আসা মুসল্লিদের নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে পুলিশ বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে। অনেক লোক জমায়েত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বিধায় তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখা পুলিশের রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব।
তিনি বলেন, এরই মধ্যে পেকুয়া থানা পুলিশের বিশেষ টিম মাঠে রয়েছে। বাড়তি নিরাপত্তার জন্য কক্সবাজার জেলা পুলিশের সহযোগিতায় ১০০ সদস্যের পুলিশের বিশেষ টিম পেকুয়ায় কাজে নেমে পড়েছে। পুলিশের পাশাপাশি সেনাবাহিনী, র্যাব ও গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা মাঠে রয়েছে, সাদা পোশাকে গোয়েন্দা তৎপরতা বৃদ্ধি করা হয়েছে।
এদিকে ২৬ ডিসেম্বর ইসলামী স্কলার ড. মিজানুর রহমান আজহারী দেশে এসেই তার ভেরিফায়েড ফেসবুকে স্ট্যাটাস শেয়ার করে বলেন, আলহামদুলিল্লাহ, নিরাপদে দেশে এসে পৌঁছলাম।
ইএইচ