দেয়াল না ভাঙায় থেমে আছে সড়কের কাজ

মাগুরা প্রতিনিধি প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২৮, ২০২৪, ০৩:৩৫ পিএম

মাগুরা সদরের বালিয়াডাঙ্গা-আলোকদিয়ায় সড়কের নির্মাণকাজ চলছে। এলাকাবাসীদের অভিযোগ, সড়কের পাশে স্থানীয় প্রভাবশালীর স্থাপনা উচ্ছেদ না করে রাস্তা নির্মাণ করা হচ্ছে। ওই দেয়াল দীর্ঘদিনের পুরোনো হওয়ায় যেকোনো সময় তা ভেঙে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন অনেকে।

শনিবার সকালে গিয়ে দেখা যায়, বালিয়াডাঙ্গা সড়কে সেতু ইটভাটার মালিকের বাড়ির দেয়াল সড়কের বাঁক সংলগ্ন।

তবে এ বিষয়ে এলাকাবাসী আবুবকর জানান, এ স্থানে দেয়াল থাকায় ১০ ফিট করে চওড়া হচ্ছে রাস্তা অথচ কাজের সিডিউলের টেন্ডার অনুযায়ী ১৮ ফিট চওড়া হওয়ার কথা। সে লক্ষ্যে আমরা রাস্তার দু’পাশের গাছ কেটে পরিষ্কার করে দিয়েছি। রাস্তা নির্মাণের জন্য অথচ একটা দেয়ালই সর্বশেষে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

নাটা চালক তামিম শেখ বলেন, বালিয়াডাঙ্গার এ সড়কে একাধিক স্থানে বাঁক রয়েছে। সেতুর বাসভবনের সামনে সবচেয়ে বড় বাঁক ও বাড়ির দেয়াল। বিপরীতদিক থেকে আসা বড় গাড়ি এলেই সাইড দেবার জায়গা নেই ওই স্থানে। অবশ্যই সড়ক নির্মাণের ক্ষেত্রে এগুলো কর্তৃপক্ষের দেখা উচিত।

মাগুরা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইসরাত জাহান বলেন, সড়কটি এলজিইডির আওতাধীন নির্মিত হচ্ছে এটা তাদের বিষয়। তিনি গণমাধ্যম কর্মীদেরকে এলজিইডি কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ প্রদান করেন।

৯নং চাউলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ৯নং ওয়ার্ড মেম্বার মাসুদ রানা বলেন, সবেমাত্র জেল থেকে বের হলেও ‘আমি বিষয়টা জানি। দেয়ালের মালিককে দেয়ালটা ভেঙে দেওয়ার জন্য এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে অনেকবার বলা হয়েছে। কিন্তু তিনি এটা ভাঙেননি। রাস্তার পাশে সরকারি জমিতে দেয়ালটা করা হয়েছে। এই দেয়ালের কারণে কাজ গতমাসে বন্ধ ছিল। দেয়াল না ভাঙার কারণে মূল রাস্তা ছোট হয়ে যাচ্ছে।

ঠিকাদার মিজানুর রহমান বলেন, ‘এই দেয়ালের কারণে আমি রাস্তার কাজ করতে পারছি না। দেয়ালটা ভাঙার জন্য অনেকবার বলা হয়েছে। কিন্তু তারা কথা শোনেননি। দেয়ালের ঝামেলা শেষ না হওয়া পর্যন্ত আমি আর রাস্তার কাজ করতে পারছি না।

রাস্তার ওপর থাকা দেয়ালের মালিক মো. সেতু বলেন, ‘আমাদের বাড়ির দেয়াল ভেঙে রাস্তা করা লাগবে কেনো? দেয়াল ভাঙা ছাড়াই তো ওখানে ১৮ ফিট রাস্তার জায়গা রয়েছে। এলজিইডি ইচ্ছা করলেই এই স্থানে রাস্তা নির্মাণ করতে পারে আমাদের পক্ষ থেকে কোন বাঁধা নেই। দেয়ালের আগে পরে আমাদের নিজেদের জমি। আমরাতো রাস্তা নির্মাণের জন্য অনেক আগেই দিয়ে দিয়েছি। একটি মহল শুধু শুধু আমাদের দেয়াল কেন্দ্রিক প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে।

কাজের তদারককারী কর্মকর্তা সদর উপজেলা প্রকৌশলী মো. আব্দুল্লাহ আল কবির বলেন, ওয়েস্টার্ন ইকোনমিক করিডোর এন্ড রিজিওনাল এনহ্যান্সমেন্ট প্রোগ্রাম (উইকেয়ার) ফেজ-০১: এলজিইডির কাজ চলছে। এ কাজের অর্থায়নকারী সংস্থা বাংলাদেশ সরকার ও বিশ্বব্যাংক। একটি দেয়াল কেন্দ্রিক প্রতিহিংসার শিকার হয়ে সরকারের একটি উন্নয়ন কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত করার অপচেষ্টা দুঃখজনক। এতে করে ভবিষ্যতে এ অঞ্চলের সড়ক পাকা করতে আগ্রহ হারাবে এলজিইডি।

ইএইচ