যশোরের চৌগাছা-মহেশপুর সড়কটিতে খানাখন্দের কারণে চলাচলে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন এলাকাবাসী।
চৌগাছা থেকে মহেশপুর পর্যন্ত ২৩ কিলোমিটার সড়ক খানাখন্দে ভরা। এ কারণে দূরপাল্লার পরিবহণ চলাচল করতে ব্যাপক ভোগান্তির শিকরা হচ্ছে। ফলে এ অঞ্চলের মানুষের ভোগান্তির সীমা নেই।
ভারী কোন যানবাহন না চলায় পণ্য পরিবহনেও দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন জনসাধারণ।
বিশেষ করে এ সড়কটির টেঙ্গুরপুর মোড় থেকে কাঁদবিলা বাজার পর্যন্ত ১৬ কিলোমিটার খানাখন্দে ভরা। সড়কটি দুই উপজেলার কয়েক লাখ মানুষের রাজধানী ঢাকা, চৌগাছা ও যশোর শহরে যাতায়াতের একমাত্র ভরসা।
সরেজমিনে গেলে আন্দারকোটা গ্রামের বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী জহুরুল ইসলাম বলেন, সড়কটি খানাখন্দে ভরা। যানবাহনে চলাচল করা কষ্টসাধ্য। উপজেলা শহর চৌগাছা ও জেলা যশোর শহরে যাতায়াতের একমাত্র পথ এটি। জরুরি প্রয়োজনে গর্ভবতী মা, শিশু ও মুর্মূষ রোগীদের যাতায়াতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। সড়কটি খানাখন্দের কারণে যাতায়াতে অধিক সময় ব্যয় হয়। মহেশপুর উপজেলা থেকে চৌগাছা হয়ে রাজধানী ঢাকায় বাস সার্ভিস চালু রয়েছে। কিন্তু সড়কটি খানাখন্দ থাকায় বেশ দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
বন্দুলিতলা গ্রামের অটোবাইকচালক সহেল হোসেন বলেন, ভাঙাচোরার কারণে দুটি উপজেলা শহর থেকে চলাচল করতে অটোবাইক নিয়ে যাওয়া কঠিন হয়। সময় লাগে দ্বিগুণ। বৃষ্টি হলে সড়কের খানাখন্দ ও গর্তে পানি জমে কাঁদা-পানিতে একাকার হয়ে যায়।
পথচারী ভ্যানচালক আব্দুল হালিম মল্লিক বলেন, চৌগাছা-মহেশপুর সড়কের টেঙ্গুরপুর মোড় থেকে কাঁদবিলা পর্যন্ত সড়কটির অবস্থা খুব খারাপ। চৌগাছা-মহেশপুর দুটি উপজেলার সাথে যোগাযোগ প্রায় বন্ধ হয়ে যাবার উপক্রম দেখা দিয়েছে।
এ সড়কের ঝাউতলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আইনাল হক বলেন, চৌগাছা-মহেশপুর সড়কটি দেখলে মনে হয় সড়কের গায়ে গুটি বসন্ত হয়েছে। এ এলাকার মানুষের চৌগাছা সরকারি হাসপাতালে এসে চিকিৎসা নেওয়া কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। যাতায়াত ব্যবস্থার নাজুক পরিস্থিতির কারণে শিক্ষা, ব্যবসা, আর্থসামাজিক দিক দিয়ে পিছিয়ে পড়ছেন এই অঞ্চলের মানুষ। সড়কটি সংস্কারের দাবি করেছেন এলাকাবাসী।
চৌগাছা উপজেলা এলজিইডির প্রকৌশলী রিয়াসাত ইমতিয়াজ জানান, চৌগাছা-মহেশপুর সড়কটি এলজিইডি বিভাগের আওতায় নয়। এ সড়কটি সড়ক ও জনপথ বিভাগের আওতায়।
ইএইচ