পটুয়াখালীর দুমকিতে প্রেমিকের বাড়িতে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকাকে অনশন করতে দেখা গেছে।
রোববার রাত ৮টার দিকে এ রিপোর্ট লেখার সময় প্রেমিকের বাড়িতে অবস্থান করছেন চাঁদনী নামের ওই প্রেমিকা।
এর আগে, রোববার সকাল ১১টা থেকে উপজেলার লেবুখালী গ্রামের প্রেমিক হাসান মাহমুদ সাজনের বাড়িতে অনশন শুরু করেন প্রেমিকা চাঁদনী।
অনশনরত চাঁদনী (২৫) প্রতিবেদককে জানায়, চার বছর আগে স্থানীয় ইউনিভার্সিটি স্কয়ারে সাজনের সঙ্গে দেখা হয় তার। পরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক হয়। নিয়মিত দেখা-সাক্ষাৎ চলে। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তার সাথে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলেন। বছরের পর বছর বিয়ের আশ্বাস দিয়ে বিভিন্ন টালবাহানা করে আসছে। গত ৫ মাস যাবৎ সাজিন সকল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে। আজকের শুনতে পাই সাজিন অন্য মেয়েকে বিবাহ করতে বাড়ি এসেছে। আমি এ বাড়িতে আসার পর সাজিন আমাকে দেখেই বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। আমি সাজনের ঘরের সামনে গেলে সাজনের মা, ফুফু ও বোন তিন জনে আমাকে মারধর করে মোবাইল ছিনিয়ে নেয়। কিছু মিডিয়াকর্মী এসে উপস্থিত হলে তাদের মাধ্যমে মোবাইল ফিরে পাই। আমার মা থানায় অভিযোগ করেছেন। আমি নিজেকে নিরাপত্তাহীন মনে করছি।
অভিযুক্ত হাসান মাহমুদ সাজন মোবাইল ফোনে বলেন, চাঁদনী আমার ছোট বোনের বান্ধবী তাই প্রায়ই বোনের সাথে বাড়িতে আসতেন।
শারীরিক সম্পর্কের বিষয় তিনি অস্বীকার করে বলেন, এটা মিথ্যা ও ষড়যন্ত্র।
দুমকি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাকির হোসেন বলেন, মেয়ের মা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। এসআই সাহিদকে ঘটনাস্থলে পাঠিয়েছি।
ইএইচ