প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের বেশিরভাগ শিক্ষার্থীরা নতুন বছরের শুরুতেই বই পায়নি। কোনো কোনো স্কুলে প্রাথমিকের কিছু বই পেলেও মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীরা বই পায়নি। এতে শিক্ষার্থীদের মাঝে হতাশা বিরাজ করছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীর শিক্ষার্থীরা। প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে. চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণি এবং মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা এখনো বই পায়নি।
কবে বই পাবে, তারও কোনো নিশ্চয়তা নেই। নতুনবছরের শুরুতে বই না পেয়ে হতাশ শিক্ষার্থীরা।
সোনাইমুড়ী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের তথ্য অনুযায়ী, এ উপজেলায় ১২২টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। নতুন বছরের প্রথম দিনে প্রথম শ্রেণি থেকে তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত বই পেলেও চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা বই পায়নি। এছাড়াও উপজেলার শতাধিক বেসরকারি কিন্ডার গার্টেনের অবস্থাও একই।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় ৩৬টি মাধ্যমিক ও ১৯টি মাদ্রাসা রয়েছে। ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের বাংলা, ইংরেজি ও গণিতের বই নতুন বছরের প্রথম প্রথম দিনই দিয়েছে অন্যান্য বিষয়ের বই সরবরাহ হ করা করা হয়নি। হয়নি।ষষ্ঠ ১০ম শ্রেণি স্কুল ও মাদ্রাসা শিক্ষার্থীরা বই পায়নি।
সরেজমিনে বিদ্যালয় ঘুরে দেখা গেছে, বছরের শুরুতে নতুন বই উৎসবের পর শিক্ষার্থীদের নতুন বই হাতে স্বতঃস্ফূর্তভাবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আগমন, হৈ- হুল্লোড়, খেলাধুলা এবং পাঠগ্রহণের যে চিত্র আগের
বছরগুলোতে দেখা গেছে, এবার তার চিত্রগুলো দেখা যায়নি । নতুন বছরের শিক্ষার্থীরা ‘বই উৎসব’ উদযাপনের মধ্য দিয়ে নতুন বই পেয়ে উচ্ছ্বাসে মেতে ওঠে। তবে এবার হচ্ছে না কোন ‘বই উৎসব’, তবে খোঁজ নিয়ে জানা যায় ছাপানো হয়নি অধিকাংশ পাঠ্যবই এতে করে বিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিও কম।
এনসিটিবি সূত্রমতে, নতুন শিক্ষাবর্ষে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) এবার বই ছাপানোর কাজ দেরিতে শুরু করেছে। তা ছাড়া হঠাৎ শিক্ষাক্রমে পরিবর্তন আসায় সংশোধন-পরিমার্জন করতে হয়েছে পাঁচ শতাধিক বই। এ কারণে বিগত বছরগুলোর মতো বছরের প্রথম দিনে সব বই শিক্ষার্থীর হাতে দিতে পারছে না সরকার। ২০১০ সাল থেকে সরকার প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের বিনা মূল্যের পাঠ্যবই দিচ্ছে। গত এক দশকের বেশি সময় ধরে ১ জানুয়ারি `বই উৎসব` করে শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দেওয়া হয়েছে।
সোনাইমুড়ী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি ইমাম হোসেন জানান, প্রতিবারের মতো এবারও শিক্ষার্থীরা বই নিতে বছরের শুরুর দিন স্কুলে আসে। তাদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখা যায়। কিন্তু চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা বই না পেয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে। বই না পেয়ে অনেকেই মন খারাপ করে বাড়ি ফিরে যায়। প্রথম শ্রেণি। থেকে তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত সরকার বই সরবরাহ করেছে।
সোনাইমুড়ী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নাজিমুদ্দিন জানান, এবার বছরের প্রথম দিন অনেক শিক্ষার্থী বই পায়নি। পাঠ্যবইয়েও অনেক পরিবর্তন এসেছে। অনেক বিষয়বস্তু সংযোজন-বিয়োজন হয়েছে। তবে অতি শিগগিরই বই সরবরাহ করা হবে।
বিআরইউ