আদালতে দুই আসামির স্বীকারোক্তি

টাকার জন্য খুন হন সাবেক পৌর কাউন্সিলর ও আওয়ামী লীগ নেতা পলাশ

অভয়নগর (যশোর) প্রতিনিধি প্রকাশিত: জানুয়ারি ৬, ২০২৫, ০৬:৪৬ পিএম

যশোরের অভয়নগরে সাবেক পৌর কাউন্সিলর ও আওয়ামী লীগ নেতা জিয়াউদ্দিন পলাশ হত্যাকাণ্ডের দুই আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। টাকার জন্য পলাশকে হত্যা করা হয়েছে বলে স্বীকার করে রোববার যশোরে অভয়নগর আমলী আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন তারা।

এর আগে গত শনিবার (৪ জানুয়ারি) বিকালে র‌্যাবের সহযোগিতায় রাজধানী ঢাকা থেকে এজাহারভুক্ত পলাতক দুই আসামি রবিউল ইসলাম ওরফে রবি ও তরিকুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। আটক রবি নওয়াপাড়া পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের রেলবস্তির ছিদ্দিক শেখের ছেলে। তরিকুল ইসলাম একই এলাকার কালা চাঁদের ছেলে।

নিহত জিয়াউদ্দিন পলাশ নওয়াপাড়া পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ও ওই ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদে ছিলেন। এছাড়া তিনি একই ওয়ার্ডের মডেল কলেজ সংলগ্ন বিশিষ্ট শ্রমিক নেতা মৃত ইব্রাহিম হোসেন সরদারের বড় ছেলে ছিলেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা অভয়নগর থানার উপপরিদর্শক মনিরুল ইসলাম আমার সংবাদকে বলেন, জিয়াউদ্দিন পলাশ হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি রবি ও তরিকুল ঢাকার বাড্ডা এলাকায় আত্মগোপনে রয়েছে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে র‌্যাব-১ এর সহযোগিতায় আফতাবনগর থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। টাকা-পয়সা সংক্রান্ত দ্বন্দ্ব ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্রী পলাশকে খুন করা হয়েছে বলে প্রাথমিক তদন্তে দুই আসামি স্বীকার করেছে। 

তিনি বলেন, রোববার যশোরে অভয়নগর আমলী আদালতে নেওয়া হলে আসামি রবি ও তরিকুল ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার দালাল জবানবন্দি গ্রহণ করেন। তিনি আরো বলেন, এজাহারভুক্ত ছয় আসামি ছাড়াও এ হত্যাকাণ্ডে আরো কয়েকজন জড়িত ছিল বলে জানিয়েছেন তারা। তদন্তের স্বার্থে তাঁদের নাম প্রকাশ করা সম্ভব হচ্ছে না। ইতোমধ্যে এজাহারভুক্ত ছয় আসামির মধ্যে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যান্য আসামি গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ২৮ ডিসেম্বর রাত ১০ টার দিকে উপজেলার বেঙ্গল রেলগেট সংলগ্ন সাইদুর রহমান ঘাটের একটি পরিত্যক্ত ঘর থেকে জিয়াউদ্দিন পলাশের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করে আত্মীয় স্বজন ও এলাকাবাসী। অপহরণের পর মুক্তিপণ নিয়ে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয় পলাশকে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার দায়ে রইচ শিকদার নামে এক ব্যক্তিকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে এলাকাবাসী। ঘটনার পরের দিন নিহতের স্ত্রী শারমিন নাহার বাদি হয়ে রইচ শিকদারসহ ছয়জনের নামে অভয়নগর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।

আরএস