নোয়াখালীতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে সাংবাদিক শাহাদাৎ বাবু ও সাংবাদিক একেএম ফারুক হোসেনকে নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করে একটি ভিডিও পোস্ট করার অভিযোগে থানায় জিডি করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকালে সাংবাদিক শাহাদাৎ বাবু বাদী হয়ে নোয়াখালী সুধারাম মডেল থানায় জিডি করেন।
সাংবাদিক শাহাদাৎ বাবু ও একেএম ফারুক হোসেন নোয়াখালী প্রেস ক্লাবের সদস্য এবং বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় নোয়াখালী প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত।
শুক্রবার সন্ধ্যায় Bakhtiar Shikdar নামে একটি ফেক আইডি থেকে এই ভিডিও পোস্ট করা হলে তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
এ বিষয়ে নোয়াখালী প্রেসক্লাবের সভাপতি সাংবাদিক বখতিয়ার শিকদারের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি কোন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ব্যবহার করি না। আমার নাম ও ছবি দিয়ে কিছু অসাধু ব্যক্তি ফেক আইডি খুলে আমার এবং আমার সহকর্মীদের নামে মিথ্যা প্রোপাগান্ডা ছড়াচ্ছে। এই ভুয়া আইডির বিরুদ্ধে আমি গত ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪ তারিখে থানায় একটি জিডি করেছি।
ঘটনার বিষয়ে সাংবাদিক শাহাদাৎ বাবুর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ফেক আইডির মিথ্যা প্রোপাগান্ডায় কেউ বিভ্রান্ত হবেন না। এই ফেক আইডি থেকে অনেক সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মানহানিকর পোস্ট করা হচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় আমার প্রতি ঈর্ষান্বিত হয়ে আমার সম্মানহানি করার জন্য এই আইডি থেকে আমার ছবি দিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করা হয়েছে। যার কোন ভিত্তি নেই। আমি দীর্ঘদিন থেকে পরিচ্ছন্নভাবে পেশাদারিত্বের সাথে সাংবাদিকতা পেশায় কাজ করে যাচ্ছি। তাই আমি এমন মানহানিকর মন্তব্যের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।
এ বিষয়ে সাংবাদিক একেএম ফারুক হোসেন জানান, আমরা আমাদের সহকর্মীর ভাইয়ের চুরি হওয়া স্বর্ণের বিষয়ে আপোষ নিষ্পত্তির জন্য সেখানে যাই। স্বর্ণ দোকানদারের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী আমরা বিষয়টি নিষ্পত্তির পর্যায়ে চলে আসলে একদল অসাধু চক্র আমাদের সাথে দুর্ব্যবহার করে। যে কারণে আমরা থানায় অভিযোগ দিলে পরবর্তীতে তারা থানায় মুচলেকা দিয়ে আমাদের কাছে ক্ষমা চায় এবং চোরাইকৃত স্বর্ণ ফেরত দেয়। কিন্তু এ বিষয়ে আমাদের ভিডিও ধারণ করে তা ভুল ব্যাখ্যায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়ে আমাদের সম্মানহানি করা হয়েছে। তাই আমরা এই অপকর্মের আইনি প্রতিকার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।
ভুয়া ফেক আইডি থেকে একেকবার একেকজনের বিরুদ্ধে এমন অপপ্রচারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন নোয়াখালীর সাংবাদিক নেতা সিনিয়র সাংবাদিক অধ্যাপক লিয়াকত আলী খানসহ নোয়াখালীতে কর্মরত সাংবাদিকবৃন্দরা।
অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করে নোয়াখালী সুধারাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি কামরুল ইসলাম বলেন, অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত সাপেক্ষে আমরা আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
ইএইচ