পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে মির্জাগঞ্জ সমাজকল্যাণ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে তাফসীরুল কুরআন মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার রাত সাড়ে ৯টা থেকে প্রায় দুই ঘণ্টা উপজেলা সদরস্থ সুবিদখালী সরকারি রহমান ইসহাক পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে তাফসির শুরু করেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন মুফাচ্ছিরে কুরআন হাফেজ মাওলানা মুফতি আমির হামজা (কুষ্টিয়া)।
তাফসীরুল কুরআন মাহফিলে মির্জাগঞ্জ সমাজকল্যাণ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন জাহাঙ্গীরের সভাপতিত্বে ওয়াজ মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন পটুয়াখালী ফোরামের চেয়ারম্যান ড. মু. শফিকুল ইসলাম মাসুদ।
প্রধান মুদাচ্ছির হাফেজ মাওলানা মুফতি আমির হামজা বক্তব্যে বলেন, গত ১৫ বছরে সবচেয়ে বেশি নির্যাতিত হয়েছে জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীরা। গত ৫ আগস্ট আমরা নতুন করে স্বাধীনতা পেয়েছি। দেশের ছাত্র-জনতা বুকের তাজা রক্ত দিয়ে আমাদেরকে স্বাধীনতা এনে দিয়েছে এবং ৩৪ হাজার মানুষ আহত হয়েছে, এখনো অনেকে হাসপাতালে ভর্তি আছেন। শহীদ আবু সাঈদের বাড়িতে আমি গিয়ে দেখেছি, তার বাবা মায়ের কান্না সহ্য করার মতো নয়। কি দোষ করেছিলো সে? গত ৫ আগস্টের পরে হিন্দুরা বেশি নিরাপদে আছে।
তিনি আরও বলেন, গত ৫ আগস্ট ১৪টি সুটকেস নিয়ে পালিয়ে গেছে ফ্যাসিস্ট সরকার, তাদেরকে আর বাংলার জমিনে দেখা যাবে না। ২৫৭টি রাষ্ট্রের মধ্যে বেশি মিথ্যা কথা ও মিথ্যা তথ্য ছড়াচ্ছে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত। তাই তাদের সাথে কোন দেশের সম্পর্কই ভালো নেই।
তিনি আরও বলেন, বিনা অপরাধে আটক রেখে আমাকে নির্যাতন করেছে। দেশের ছাত্র-জনতার আন্দোলনে স্বৈরাচারী হাসিনা দেশ থেকে গোপনে পালিয়ে গেছে।
বিশেষ মুফাচ্ছির হিসেবে বক্তব্য দেন- মাওলানা হোসাইন আহমেদ মাহফুজ (চুয়াডাঙ্গা), হাফেজ মাওলানা জাকির হোসেন আজমী।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে দেন, বরগুনা ফোরামের সভাপতি ডাক্তার সুলতান আহমেদ, জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের পটুয়াখালী জেলা শাখার আমির অ্যাডভোকেট মো. নাজমুল আহসান, উপজেলা বিএনপির সভাপতি আলহাজ্ব মো. শাহাবুদ্দিন নান্নু, জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ এর মির্জাগঞ্জ উপজেলা শাখার আমির মাও: মু. সিরাজুল হক, দেশবন্ধু গ্রুপের সিও ও জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় নেতা মো. ইদ্রীসুর রহমান প্রমুখ। সঞ্চালনা করেন মো. আব্দুল হালিম।
এছাড়াও ওয়াজ মাহফিলে স্থানীয় ওলামায়ে কেরামগণ কুরআন ও হাদিসের আলোকে তাফসির পেশ করেন।
ইএইচ