ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে ঘর থেকে তুলে নিয়ে ৮ বছর বয়সী কন্যা শিশুর গলায় ছুরি ঠেকিয়ে মেয়ের সামনে মাকে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে।
মূলধর্ষক আকরাম মিয়া নামে এক ব্যক্তিসহ ৩ জনের নামে ধর্ষণের অভিযোগে রবিবার (৫ জানুয়ারি) বাঞ্ছারামপুর মডেল থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলা নং ০১/২৫। ধর্ষক ও তার ৩ সহযোগী ধর্ষণ শেষে ঘরে থাকা নগদ ৩ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা ও ৪ ভরি স্বর্ণালংকার নিয়ে যায় বলে অভিযোগে জানা গেছে।
রবিবার বিকেলেই থানার একদল পুলিশ ধর্ষকসহ তার সহযোগীদের গ্রেফতারে মাঠে নেমেছে বলে নিশ্চিত করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার জাবেদ রহমান।
বাঞ্ছারামপুর উপজেলার ছলিমাবাদ ইউনিয়নের পাইকারচর গ্রামের প্রবাসীর স্ত্রী ওই গৃহবধূ থানায় সরেজমিনে হাজির হয়ে জানায়, গত বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ১০ টার দিকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। লোকলজ্জার ভয় ও মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়ায় মামলা করতে বিলম্ব হয় বলে জানায় ভিকটিম।
বাঞ্ছারামপুর মডেল থানার ওসি (তদন্ত) রিতেন চন্দ্র দাস মামলার বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
আসামিরা হলেন, উপজেলার পাইকারচর গ্রামের আউয়াল মিয়ার ছেলে আকরাম মিয়া (২৮), একই গ্রামের জসীম মিয়া (২৩) এবং সাইদুল ইসলাম সহ অজ্ঞাত নামা আরও কয়েকজন।
এজাহারে ঘটনার বর্ণনায় বলা হয়েছে, ভিকটিমের বাড়ি বাঞ্ছারামপুর উপজেলার ছলিমাবাদের পাইকারচর ইউনিয়নে, আসামিদের বাড়িও একই গ্রামে। ধর্ষণের শিকার গৃহবধূর স্বামী সৌদি প্রবাসী।
আসামি আকরাম তার স্বামীর আত্মীয় হলেও এলাকায় বখাটে হিসেবে পরিচিত। আগে থেকেই গৃহবধূর প্রতি তার কুদৃষ্টি ছিল বলে জানান।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, মামলার স্বাক্ষী ও গুরুতর আহত ৮ বছরের শিশু মেয়ে নুসরাত, নিকট আত্মীয় রমজান, তাসলিমা ও রত্না বেগমকে নিয়ে লুডু খেলছিল। এ সময় দরজা খোলা পেয়ে আসামিরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে দলবেঁধে ঘরে ঢুকে প্রথমে টাকা, মোবাইল ও স্বর্ণালংকার লুট করে। বাঁধা দিলে আসামীরা রমজানের হাতে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। পূর্বপরিচিত ও মূল অভিযুক্ত আকরাম মিয়া ওই গৃহবধূ ও তার শিশু কন্যাকে বাড়ির পাশে জমিতে নিয়ে যেয়ে মেয়ের গলায় রামদা ঠেকায়। পরে তার সামনেই মাকে ধর্ষণ করে। তখন অন্য সহযোগীরা ঘর ফাঁকা পেয়ে লুটপাট করতে থাকে।
এ বিষয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই নুর মোহাম্মদ মুঠোফোনে জানান, আসামিদের ধরতে অভিযান চলছে। আসামিদের কোনো প্রকার ছাড় দেয়া হবে না। তবে এই মুহূর্তে তারা এলাকায় নেই।
এদিকে এঘটনা ফাঁস হওয়া ও মামলা করার পর ধর্ষকের বিচারের দাবিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তোলপাড় শুরু হয়।
আরএস