ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলাকে কেন্দ্র করে ছুটির দিনে সৃষ্টি হয়েছে তীব্র যানজটের। সকাল থেকে মেলায় দর্শনার্থীদের অতিরিক্ত চাপ এবং যানবাহনের বাড়তি ভিড়ের কারণে এ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
এদিকে দুদিনে দর্শনার্থীদের অতিরিক্ত চাপে মেলায় বিড়ম্বনা বাড়িয়েছে ই-টিকিট ব্যবস্থা। দর্শনার্থীদের অভিযোগ প্রথমবারের মতো চালু হলেও সার্ভার কাজ না করায় প্রবেশ হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে। অতিরিক্ত ভিড়ে সাময়িক সমস্যা হলেও সমাধানের চেষ্টা হচ্ছে বলে দাবি করছে কর্তৃপক্ষ।
এবার প্রথম চালু হওয়া ই-টিকেটিং নিয়ে দর্শনার্থীদের অভিযোগ, সবাই ডিজিটাল পদ্ধতিতে এখনও অভ্যস্ত না। পাশাপাশি সার্ভার নষ্ট হওয়ায় স্ক্যান করা যাচ্ছে না। রয়েছে মোবাইল নেটওয়ার্কেরও সমস্যা।
মেলায় পরিবারের সদস্যদের নিয়ে উত্তরা থেকে আসা রনি আমার সংবাদকে বলেন, ‘ছুটির দিনে পরিবারের সবাইকে নিয়ে চলে এলাম। মেলা ঘুরে বিভিন্ন পণ্য দেখছি। অনেক কিছু কিনেছি। তবে এবার ই-টিকিট ব্যবস্থার কারণে মেলায় প্রবেশে সমস্যা হয়েছে।’
এ বিষয়ে ডিজি ইনফোটেকের পরিচালক নাসির উদ্দিন আহমেদ আমার সংবাদকে বলেন, প্রথমবার হওয়ায় একটু সমস্যা হচ্ছে। ছুটির দিনে চাপ বেশি থাকায় বুথ সংখ্যা বাড়ালেই সমস্যা অনেকটা কমে আসবে।
স্টল মালিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ছুটির দিনে দর্শনার্থী অনেক বেশি দেখা যাচ্ছে। বিক্রিও বেড়েছে। তবে দর্শনার্থীরা ই-টিকিট ব্যবস্থা নিয়ে নানা অভিযোগ জানাচ্ছেন।
এরপরও শুক্রবার বিকাল থেকে মেলার গেটে দেখা যায় টিকিট সংগ্রহ করতে কাউন্টারগুলোতে দর্শনার্থীদের উপচেপড়া ভিড়। গেট দিয়ে ভেতরে প্রবেশের পরই ঢল নামে ক্রেতা আর দর্শনার্থীদের। মেলার স্টলগুলোতে পা ফেলার জায়গা ছিল না।
মেলার একপাশে কনসার্টের আয়োজন করা হয়। সন্ধ্যা থেকেই সেখানে উৎসুক দর্শনার্থীদের ঢল দেখা যায়। এবারের মেলায় গানের আসর এক নতুনমাত্রা যোগ করেছে।
বন্ধুদের সঙ্গে নিয়ে মেলায় এসেছেন শিক্ষার্থী তাজরিন। আমার সংবাদকে বলেন, ‘এবারের বাণিজ্য মেলায় ছাত্র আন্দোলনের অনেক স্মৃতি ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। জুলাই চত্বর, শহীদ মুগ্ধ কর্নারসহ জুলাই-আগস্টের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অনেককিছু এ মেলায় ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। এ ছাড়া মেলায় মিনি শিশুপার্ক ও সাংস্কৃতিক সন্ধ্যার কনসেপ্টও খুব ভালো লেগেছে।’
ইএইচ