টমেটো চাষে ‘পলি হাউস’

কলমাকান্দা (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৬, ২০২৫, ০৫:১৩ পিএম

নেত্রকোনার কলমাকান্দায় টমেটো চাষে লাভবান হয়েছেন কৃষক আজিজুল ইসলাম (৫৫)। গত বছরের অক্টোবর মাসে ‘পলি হাউস’ পদ্ধতিতে টমেটো চাষ শুরু করেন। চারা তৈরি থেকে শুরু করে পরিচর্যা পর্যন্ত তাঁর খরচ হয় ২২ হাজার টাকা। এ পর্যন্ত তিনি বিক্রি করেছেন ১৪ মণ টমেটো। যা পাইকারি ৮০ টাকা দরে বিক্রি করছেন। এ মৌসুমে দেড় লাখ টাকার টমেটো বিক্রি করতে পারবেন বলে আশা করছেন তিনি।

সরেজমিন উপজেলার পোগলা ইউনিয়নের পাবই গ্রামে দেখা গেছে, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আওতায় কৃষক আজিজুল ইসলামকে ‘পলি হাউস’ তৈরি করে দেন। হাউসের ভেতরে রয়েছে ৮শ‍‍`ত টমেটো গাছ। চারাতে পানি ছিটানোর জন্য রয়েছে  স্প্রে মেশিন। এছাড়া ভেতরের গরম বাতাস বের করতে রয়েছে ভেন্টিলেটর ফ্যান। আর সেখানে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে আছে টমেটো গাছের চারা। সবুজ পাতার ফাঁকে উঁকি দিচ্ছে কাঁচা-পাকা টমেটো।

কৃষক আজিজুল ইসলাম বলেন, তিনি যে পদ্ধতিতে সবজি চাষ করছেন, সেটি এই এলাকায় একেবারেই নতুন। গত বছরের অক্টোবর মাসে তিনি ‘বাহুবলি’ হাইব্রিড ও অ্যাগ্রো ওয়ান স্মার্ট ১২১৭ জাতের টমেটোর বীজ বপন করেন। চারা লাগানোর উপযুক্ত হওয়ার পর ১০ শতাংশ জমির ‘পলি হাউস’ এর ভেতরে গাছের চারা রোপণ করেন। এতে তার খরচ হয় ২২ হাজার টাকা। তিনি এ পর্যন্ত পাইকারি দরে ৩৮ হাজার টাকা বিক্রি করেছেন। চলতি মৌসুমে আরও দেড় লাখ টাকার টমেটো বিক্রি করতে পারবেন বলে জানান তিনি।

কৃষক আরও বলেন, পাইকারি ৮০ টাকা করে বিক্রি করা যায়। স্থানীয় বাজারে এই টমেটোর দাম আরও বেশি। ফলন ভালো হলে লাভ বেশি হয়। টমেটো বিক্রি শেষ হলে তিনি শসা চাষ করবেন বলে জানান। তিনি বলেন, ‘পলি হাউস’ ছাড়াও খোলা মাঠে আরও ৩০ শতাংশ জমিতে টমেটো চাষ করছেন। সেখান থেকেও লাভের আশা দেখছেন তিনি।

কলমাকান্দা কৃষি কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম বলেন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আওতায় কৃষক আজিজুল ইসলামকে ‘পলি হাউস’ করে দেন। আধুনিক এ পদ্ধতিতে চাষ হলে তাপ নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে উৎপাদিত উচ্চ ফলনশীল চারা ও ফসলের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বেশি হয়ে থাকে। আর কৃষক আজিজুল ইসলামের মতো অনেক কৃষক আমাদের পরামর্শে লাভবান হচ্ছেন। 

আরএস