চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে চাঁদা না দেয়ায় সন্ত্রাসী স্টাইলে বসতভিটার সীমানা প্রাচীর ভাঙচুর ও হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বাঁশখালী পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ড পশ্চিম নেয়াজরপাড়া এলাকায় এঘটনাটি ঘটে। থানায় দেয়া অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ৫ লাখ টাকা চাঁদা না দেয়ায় শনিবার (১৯ জানুয়ারি) গভীর রাতে হাফেজ আইয়ুব আনছারী ও মুফতি জামাল উদ্দিনের বসতভিটার নির্মাণাধীন সীমানা প্রাচীর ভেঙে দিয়ে তাদের উপর হামলা করে সন্ত্রাসীরা। একই সাথে দুইশত ব্যাগ সিমেন্ট, লোহার রড ও মালামাল নষ্ট করার পাশাপাশি নির্মাণ সামগ্রী লুট করারও অভিযোগ করেন ক্ষতিগ্রস্তরা। ৫ লাখ টাকা চাঁদা না দেয়ায় এই হামলা ও ভাঙচুর চালায় বলে জানান ক্ষতিগ্রস্ত হাফেজ আইয়ুব আনছারী।
তিনি এই বিষয়ে বাঁশখালী থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন বলেও জানান। এদিকে ক্ষতিগ্রস্তের অভিযোগ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
জানা গেছে, বাঁশখালী পৌরসভার মিয়ারবাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মাহমুদুল ইসলামের পিতা জামশেদ সওদাগরের কাছ থেকে পৌরসভার উত্তর জলদী ৩নং ওয়ার্ড এলাকায় ৮শতক জায়গা কিনে সেখানে বসতবাড়ি করার প্রস্তুতি নেন ভাদালিয়া এলাকার আবুল খায়েরের ছেলে হাফেজ আইয়ুব আনছারী ও তার ভাগিনা মুফতি জামাল উদ্দিন। ভাদালিয়া থেকে এসে জলদীতে জায়গা কিনে বসতভিটা করায় জনৈক জামাল উদ্দিনের নেতৃত্বে একটি সিন্ডিকেট তাদের কাছ থেকে চাঁদা দাবি করে আসছিল।
এরই প্রেক্ষিতে গত শুক্রবার গভীর রাতে সংঘবদ্ধ চক্র বসতভিটার নির্মাণাধীন ভাউন্ডারী ওয়াল ভেঙে ফেলে। এসময় বাঁধা দিলে কেয়ারটেকার মোস্তফা আলী (৪৫)কে মারধর করে ভাঙচুর ও লুটপাটের পাশাপাশি প্রায় দুই শত ব্যাগ সিমেন্ট কেটে এবং ছিড়ে নষ্ট করে ১০ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি সাধন করে।
অভিযুক্ত জামাল উদ্দিন জানান, আমি কিংবা আমার নেতৃত্বে কোনো বাউন্ডারি ওয়াল ভাঙচুর হয়নি। তারা নিজেরা ভেঙে মামলা সাজানোর চেষ্টা করছে, চাঁদাবাজির অভিযোগও মিথ্যা।
বাঁশখালী থানার ওসি সাইফুল ইসলাম জানান, অভিযোগ পেয়েছি। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এই বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বিআরইউ