সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলায় বিভিন্ন হাওরের ফসল রক্ষায় বাঁধ ৮৬ টার মধ্যে ৮৫ টার কাজ পিআইসি কমিটির মাধ্যমে কাজ শুরু হয়েছে। আগামী ২৮ শে ফেব্রুয়ারির মধ্যে কাজ শেষ করা কথা। টংগী বাঁধে পানি থাকায় কাজ শুরু করতে পারে নি। পানি নেমে গেলে দ্রুত কাজ শুরু হবে। হাওর এলাকার মানুষ একমাত্র বোর ধানের উপর নির্ভরশীল। বছরের একটি বোরো ফসলের আশায় থাকে হাওর এলাকার মানুষ। অতি বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে আগাম বন্যায় তলিয়ে যায় হাওর এলাকার বোরো ধান। তাই সময়মতো বেড়িবাঁধ দেওয়া না হলে বা নিম্নমানের বাঁধ দিলে ফসল হানির ঘটনা ঘটে।
সোনা মোড়ল হাওরের কৃষক আবুল বাশার বলেন, এই হাওরের আমার ৫০ কাটা জমি আছে, সময় মতো যদি বাঁধের কাজ শেষ না করে তাহলে এই সোনার ফসল পানিতে ডুবে যাবে। তাই পিআইসিদেরকে তদারকি করে দ্রুত কাজ শেষ করার দাবি জানাই।
একাধিক পিআইসির সভাপতি ও সম্পাদক এর সাথে কথা বলে যানা যায়, তারা এখনো বাঁধের কাজের প্রথম কিস্তি র টাকা পায়নি। দ্রুত টাকা না পেলে সঠিক সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করতে পারবে না। তই আগাম বন্যায় ফসল হানির ঘটনা ঘটতে পারে।
ধর্মপাশা উপজেলার পানি উন্নয়ন বোর্ডের এস ও ও কাবিটা বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য সচিব জাহাঙ্গীর আলম বলেন, পানি একটু দেরিতে নামায় কাজ শুরু করতে কিছুটা অসুবিধা হলেও এখন পুরোদমে কাজ চলছে। আজকে পর্যন্ত ৩০% কাজ হয়েছে । টংগী বাঁধে পানি থাকায় কাজ শুরু করতে পারিনি, পানি নেমে গেলে দ্রুত কাজ শুরু করব। আশা করি ২৮ শে ফেব্রুয়ারির মধ্যে কাজ শেষ করতে পারবো।
ধর্মপাশা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও ভারপ্রাপ্ত ও উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি মো. অলিদুজ্জামান বলেন, পিআইসিদের প্রথম কিস্তির টাকা এখনো দেওয়া হয়নি। নতুন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও পোস্টিং হয়েছে। উনি এসে পিআইসিদের প্রথম কিস্তির বরাদ্দের টাকা ছাড় দিবেন। আগামী সপ্তাহে তারা টাকা পেয়ে যাবে। আশা করি ২৮ শে ফেব্রুয়ারির মধ্যে বাঁধের কাজ শেষ হবে।
বিআরইউ