মৎস্য উৎপাদনে যশোর জেলা পর্যায়ে অভয়নগর উপজেলা দ্বিতীয় স্থানে থাকলেও জনবল সংকটে ধুঁকছে মৎস্য দপ্তর। ছয়জন কর্মকর্তা- কর্মচারীর স্থলে কাজ করেন তিনজন। দীর্ঘদিন জনবল সংকট থাকায় কাঙ্ক্ষিত সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন মাছ চাষিসহ ব্যবসায়ীরা। দ্রুত শূন্যপদ পূরণের দাবি করেছেন তারা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এ উপজেলায় বাৎসরিক মাছের চাহিদা পাঁচ হাজার ৭৪৭ মেট্রিক টন (প্রতিদিন জনপ্রতি ৬০ গ্রাম হারে)। বাৎসরিক উৎপাদন ৩১ হাজার ৬৫০ মেট্রিক টন। উদ্বৃত্ত ২৫ হাজার ৯০৩ মেট্রিক টন। মোট জলাশয়ের আয়তন দশ হাজার ৭৮ হেক্টর। মাছ চাষির সংখ্যা ১৫ হাজার ২৭৫ জন। ছোট-বড় পুকুরের সংখ্যা চার হাজার ৮১০টি। সাদা মাছের ঘের তিন হাজার ৪৫০টি। গলদা চিংড়ির ঘেরের সংখ্যা আট হাজার ৬৫৫টি।
উপজেলা মৎস্য দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, এ দপ্তরে অনুমোদিত মাদিত পদের সংখ্যা ছয়টি। বর্তমানে কর্মরত আছেন সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা, ক্ষেত্র সহকারী এবং অফিস সহায়ক। পদশূন্য রয়েছে মৎস্য সম্প্রসারণ কর্মকর্তা, সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা এবং অফিস সহকারী।
স্থানীয় মাছ চাষি ও ব্যবসায়ীরা বলেন, মৎস্য অফিসে জনবল সংকটের কারণে সেবা পেতে বিভিন্ন সমস্যায় পড়তে হয়। একই সঙ্গে ভবদহের জলাবদ্ধতার সঙ্গে সংগ্রাম করে মাছ চাষ করতে হয়। বিভিন্ন প্রতিকূলতার মধ্যেও জেলার ভেতরে অভয়নগর মাছ উৎপাদনে দ্বিতীয় স্থান ধরে রেখেছে। অথচ এই উপজেলার মৎস্য দপ্তরে জনবল সংকট। বিষয়টি দুঃখজনক। দ্রুত শূন্যপদগুলো পূরণ করা হলে অভয়নগর উপজেলা যশোর জেলার মধ্যে মাছ উৎপাদনে প্রথম হবে বলে আশা করেন তারা।
এ ব্যাপারে সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আমিনুল হক বলেন, মাছ চাষ ও উৎপাদনে জেলার মধ্যে দ্বিতীয় স্থানের গৌরব ধরে রেখেছে অভয়নগর। অথচ এই উপজেলার মৎস্য দপ্তরে জনবল সংকট। আর এই সংকটের কারণে সেবা দিতে অনেক সমস্যা হয়। দীর্ঘদিন তিনটি পদশূন্য রয়েছে। জনবল সংকট পূরণ হলে যেমন সেবাদান বৃদ্ধি পাবে তেমন গতি বাড়বে কাজের। বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, ভবদহ এলাকায় ক্ষতিগ্রস্ত মাছ চাষিদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া সম্ভব নয়। তবে ব্যাংক, এনজিও এবং সমিতি থেকে ঋণ সহায়তা পেতে ক্ষতিগ্রস্ত মাছ চাষিদের সহযোগিতা প্রদানে চেষ্টা করা হবে।
আরএস