শিক্ষার্থীদের মেধা বিকাশে প্রধান শিক্ষকের ব্যতিক্রমী উদ্যোগ

আল-আমিন, নীলফামারী প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৩, ২০২৫, ০৩:১৫ পিএম

শিক্ষার্থীদের মেধা বিকাশ আর ঝরে পড়া শিক্ষার্থীদের স্কুলমুখী করতে বিদ্যালয়ের পুরো বিল্ডিংই রঙ তুলিতে মাধ্যমে পাঠ্যবইয়ের বিভিন্ন বর্ণে অঙ্কিত করে সাজিয়েছে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. কোবাদ আলী।

সরকারি বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের এ ব্যতিক্রমী উদ্যোগের ফলে মাঘের এই কনকনে শীতেও আনন্দের সাথে বিদ্যালয়ে এসে অধ্যয়ন করছে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা।

শুধু তাই নয়, ঝরে পড়া শিক্ষার্থীদের পুনরায় স্কুলমুখী করতে ভর্তি ক্যাম্পেইন সহ নানা আয়োজন করেন তিনি। প্রধান শিক্ষকের এ ব্যতিক্রমী উদ্যোগের খবর পেয়ে বিদ্যালয়টিতে পরিদর্শনে যান জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ নায়িরুজ্জামান ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) সাইদুল ইসলাম পরিদর্শন শেষে প্রধান শিক্ষকের ব্যতিক্রমী উদ্যোগগুলোকে সাধুবাদ জেলা প্রশাসক।

পশ্চিম পঞ্চপুকুর জামতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কর্মরত শিক্ষক-শিক্ষিকারা বলছেন, শুধু মাত্র বেতনের জন্যই নয়, নিজেদের অর্জিত শিক্ষাকে কাজে লাগিয়ে কোমলমতি শিশুদের মেধা বিকাশে নিরলসভাবে কাজ করছেন তারা। প্রত্যন্ত এলাকায় এ বিদ্যালয়টি স্থাপিত হলেও, এটি একটি মডেল স্কুলে পরিণত করার প্রয়াস তাঁদের।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. কোবাদ আলী জানান, ‘জেলা শহরের প্রত্যন্ত অঞ্চলে পশ্চিম পঞ্চপুকুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টিতে আমি গত সাত বছর ধরে এ প্রতিষ্ঠানের প্রধান হিসেবে কাজ কর্মরত আছি। প্রতিষ্ঠানটির বর্তমান ও সাবেক সভাপতিসহ অন্যান্যরা অনেকটা আন্তরিক। তাই প্রত্যন্ত অঞ্চল হলেও, অন্যান্য শিক্ষকগণসহ সকলের স্বতঃস্ফূর্ত সহযোগিতায় এটি একটি মডেল স্কুলে পরিণত করার মানসিকতা নিয়েই এখানে কাজ করছি।’

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, কুমারেশ চন্দ্র গাছি বলেন, ‘জেলার প্রায় ১ হাজারটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। তবে, কোমলমতি শিক্ষার্থীদের মেধার বিকাশ আর ঝরে পড়া শিক্ষার্থীদের স্কুলমুখী করতে পশ্চিম পঞ্চপুকুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অনেক ব্যতিক্রমী উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। যা নিতান্তই প্রশংসনীয় আগামীতে জেলার প্রতিটি বিদ্যালয় এরকম ব্যতিক্রমী আয়োজন যেন করা হয় সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।’

নীলফামারীর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ নায়িরুজ্জামান বলেন, এ প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক মো. কোবাদ আলী শিশুদের মেধা বিকাশ আর ঝরে পড়া শিক্ষার্থীদের স্কুলমুখী করতে বেশ কিছু ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নিয়েছেন। আমি তাকে অভিনন্দন জানাই।

ইএইচ