তজুমদ্দিন সরকারি বালিকা বিদ্যালয়

শ্রেণিকক্ষ নয় যেন আবাসিক হোটেল

ইলিয়াস সানি, তজুমদ্দিন (ভোলা) প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৩, ২০২৫, ০৮:৫৩ পিএম

ভোলার তজুমদ্দিন উপজেলার ফজিলাতুন্নেছা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষকের বিরুদ্ধে শ্রেণিকক্ষ দখল করে আবাসিক ব্যাচেলর বাসস্থান হিসাবে ব্যবহার করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

পরিবার পরিজন ছাড়া ব্যাচেলর শিক্ষকের এসব কক্ষে স্কুল ছুটির পর প্রাইভেট পড়ানো হয় বলে জানান অভিযোগকারীরা।

স্থানীয়দের অভিযোগে জানা গেছে, ফজিলাতুন্নেছা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের তিনতলা ভবনে ২য় তলার দুটি কক্ষ দখল করে আবাসিক বাসস্থান হিসাবে দীর্ঘদিন যাবত বসবাস করছেন সহকারী শিক্ষক মাসুদুল হাসান। বসবাসরত কক্ষের উপরতলায় চলছে ৯ম ও ১০ শ্রেণির ছাত্রীদের পাঠদান। 
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক শিক্ষার্থী বলেন, ক্লাস রুমের সাথে শিক্ষকরা বসবাস করায় তাদের পড়া লেখাসহ নানাবিধ সমস্যার সৃষ্টি হয়।

চরম ক্ষোভ প্রকাশ করে স্থানীয় একাধিক অভিভাবক জানিয়েছেন, বিদ্যালয়ের ৩ তলা ভবনে ২য় তলা দখল করে আছেন সহকারী শিক্ষকেরা। ব্যাচেলর শিক্ষকরা থাকছেন আবাসিক হোটেলের মতো, বিদ্যুৎ ব্যবহারের বিল পরিশোধ করতে হয় বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকেই। অথচ তারা সরকারি বাড়িভাড়া ভোগ করছেন। একই ভবনের তৃতীয় তলায় চলছে নবম ও দশম শ্রেণির ছাত্রীদের ক্লাস।

স্কুল ছুটির পর ছাত্রীদের প্রাইভেট পড়ানো হয়। বিগত দিনেও এই বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ছাত্রীদের সাথে অনৈতিক আচরণের অভিযোগ রয়েছে বলেও জানান অভিভাবকরা।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত সহকারী শিক্ষক মাসুদুল হাসান সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে রাজি নয় বলে জানিয়ে দেন। তিনি বলেন, পারলে আমাকে বদলি করে পাঠিয়ে দেন।

প্রধান শিক্ষক আলমগীর হোসেন বলেন, একদিকে শিক্ষক সংকট, অন্যদিকে বাহিরে আবাসিক সমস্যা। এখানে শিক্ষক আসতে চায় না। যারা আছেন দূর-দুরান্তের। মৌখিক অনুমতিতে তারা কক্ষগুলো ব্যবহার করছেন। 
ভোলা জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার খন্দকার ফজলে গোফরান বলেন, শ্রেণিকক্ষকে আবাসিক হিসেবে ব্যবহার করার কোন সুযোগ নাই। এমনটি হলে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেয়া হবে।

ইএইচ