কনের বাড়িতে বর সেজে হাজির ২০ যুবক

ভৈরব (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৫, ২০২৫, ০৪:১৯ পিএম

কিশোরগঞ্জের ভৈরবে কনের বাড়িতে বর সেজে হাজির হলো ২০ যুবক। শুক্রবার বিকালে এমন অদ্ভুত ঘটনা ঘটেছে ভৈরব উপজেলার গোছামারা গ্রামে।

এমন ব্যতিক্রমী বিয়ের ঘটনায় বর দেখতে বিয়ে বাড়িতে হাজির হয় এলাকার শতশত উৎসুক শিশু কিশোর ও নারী-পুরুষ।

ঘটনাটি এলাকায় ব্যাপক সাড়া ফেলে। বরযাত্রীদের মধ্যে শেরওয়ানি পড়ে বিয়ে বাড়ির গেইটে ২০ বর হাজির হওয়ায়কে আসল বর, সেটি না বুঝেই গেট আটকাতেই বিপাকে পড়ে কনে পক্ষ।

জানা গেছে, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সদরের কাজী পাড়া (বর্তমানে) ভৈরব শহরের বঙ্গবন্ধু সরনির বিসমিল্লাহ টাওয়ারের বাসিন্দা ও সুপ্রিম কোর্টের অ্যাসিস্টেন্ট পিআর আল আমিন মাহমুদ শিপনের ছেলে ছাব্বির হোসেন সজীবের সাথে ভৈরব উপজেলার শিমুলকান্দি ইউনিয়নের গোছামারা গ্রামের মো. শাহ আলম মিয়ার মেয়ে জ্যোতি আক্তার স্বর্ণার বিয়ের দিনক্ষণ ঠিক হয় পারিবারিকভাবে।

সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, এ বিয়েতে শুক্রবার বিকালে প্রাইভেটকার ও মোটরসাইকেলে শেরওয়ানি আর পাগড়ি পড়ে একসঙ্গে ২০ জন বর হাজির হয় কনের বাড়িতে।

এক বরযাত্রীতে এত বর দেখে অবাক কনে বাড়ির লোকজনসহ আগত অতিথিরা। ভিন্ন রকম অভিজ্ঞতায় বিয়ের আয়োজনে সামিলদের আনন্দের মাত্রা ছিল বহুগুণ। ২০ বরের উপস্থিতি ঘিরে দিনভর উল্লাসিত বিয়েবাড়ি।

বর ছাব্বির হোসেন সজীব আমার সংবাদেকে বলেন, তার বিয়েতে বন্ধুরা মিলে বরযাত্রী হিসেবে ২০ জন বর সেজে যান। এতে বিয়ের আনন্দটা অনেক বেড়ে যায়।

কনে জ্যোতি আক্তার স্বর্ণা আমার সংবাদকে বলেন, তিনি শুনেছেন তার বরের সাথে আরও ২০ জন বর সেজে এসেছেন। ব্যতিক্রমী এই বরযাত্রার কথা শুনে খুবই ভালো লাগছে।

বরের বন্ধু আল আমিন বলেন, জীবনে তো আমরা অনেক বরযাত্রী গেছি, আজকে আমার বন্ধু বিয়েতে এমনভাবে আসছি, আমাদের বন্ধু ব্যতীত আমরা আরও ২০ জন বর সেজে এসেছি। ভীষণ ভালো লাগছে। তার বিয়ের সময়ও এমন ব্যতিক্রমী আয়োজন করার ইচ্ছে রয়েছে বলে জানান।

বরের ছোটভাই জানান, তার বাবা ও পরিবারের ইচ্ছে ছিল বড় ভাই সজীবের বিয়েতে ২০ জন বড় সেজে যাবে। এই বিয়েতে ছোট ভাই হয়েও বড় সেজে যাওয়াটা অন্য রকম একটি অভিজ্ঞতা হয়েছে। এই বিয়েটাকে স্মরণীয় রাখার জন্যই এই আয়োজন।

বরের বাবা আল আমিন মাহমুদ শিপন বলেন, বিয়ের অনুষ্ঠানে মানুষ বিভিন্নভাবে আনন্দ নিয়ে থাকে। আমার ইচ্ছে ছিল আমার ছেলের বিয়েতে একটু ব্যতিক্রমভাবে আনন্দ দেয়ার জন্য এই আয়োজন করেছি। এমন আয়োজনে বরযাত্রী ও কনেপক্ষের সবাই অনেক আনন্দিত। তিনি বর ও কনের জন্য সবার কাছে দোয়া কামনা করেন।

ভিডিওগ্রাফার খোকন মিয়া বলেন, আমি কয়েক হাজার বিয়ের প্রোগ্রাম করেছি। এই প্রথম বিয়েতে এত বর দেখে খুবই আনন্দ উপভোগ করি। বর দেখতে শতশত মানুষ গেইটে ভীর জমাই। আসল জামাই খুঁজে পেতে অনেক কষ্ট হয়।  আসলে আমাদের এলাকায় এরকম বিয়ে এটাই প্রথম। সবাই মিলে এটা উপভোগ করেছে।

কনের দাদা বলেন, সত্যিই আয়োজনটা ব্যতিক্রম ছিল। বিষয়টি উপভোগ্য ছিল। একটা মিলন মেলায় পরিণত হয়েছিল। এত বর থেকে আসল বরকে তা কনেই বেঁচে নিবেন। তিনি তার নাতনি ও নানতি জামাইয়ের জন্য দোয়া চান।

ইএইচ