কক্সবাজারে ১২ পেশাদার ছিনতাইকারী গ্রেপ্তার

আবদুল হালিম, কক্সবাজার প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৫, ২০২৫, ০৪:৪৭ পিএম

কক্সবাজার শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে একাধিক ছিনতাইয়ের ঘটনায় জড়িত ১২ ছিনতাইকারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

শুক্রবার রাতভর কক্সবাজার সদর মডেল থানার পুলিশ বিশেষ অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে।

কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মুহাম্মদ রহমত উল্লাহ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

গ্রেপ্তাররা হলেন, কক্সবাজার শহরের টেকপাড়ার মাসুদ হোসেনের ছেলে তানভীর হোসেন পেটান প্রকাশ আজাদুর রহমান (২২), পাহাড়তলী এলাকার মো. শফিকের ছেলে মো. ইসমাইল (২০), ইসুলের ঘোনা এলাকার সরোয়ারের ছেলে ইমরান সরোয়ার ইমন (২১), বার্মিজ মার্কেট এলাকার মো. ফরিদের ছেলে মো. ইরফান ফারদিন (২০), মহেশখালী উপজেলার কুতুবজোম ইউনিয়নের খন্দকার পাড়ার মোহাম্মদ হোছনের ছেলে শহরের মোহাজের পাড়ায় বসবাসকারী সিহাব উদ্দিন খোকন (২৯), সমিতি পাড়ার আবুল কাশেমের ছেলে মো. সোহেল (২৮), বৌদ্ধ মন্দির এলাকার কৃষ্ণ চন্দ্র দাশের ছেলে সুমন কান্তি দাশ (২৫), নতুন বাহারছড়ার মানিক মিয়ার ছেলে মো. হান্নান (১৯), সমিতি বাজার পল্লানপাড়া এলাকার মো. সেলিম সুলতানের ছেলে সাইফুল ইসলাম (২৪), রুমালিয়ার ছড়ার মো. হানিফের ছেলে মো. শাহীন প্রকাশ বুলেট (২২), বাহারছড়া এলাকার মৃত ইসমাইলের ছেলে হাসান মাহমুদ সাগর প্রকাশ ভিকি (২৬) ও টেকপাড়ার মোস্তফা কামালের ছেলে মিজবাউল হক মুন্না (২২)।

সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইলিয়াস খান জানান, কক্সবাজার জেলার আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে পুলিশ সুপার মুহাম্মদ রহমত উল্লাহর নির্দেশনায় সব ওয়ারেন্ট তামিল, অবৈধ মাদক ও অস্ত্র উদ্ধারসহ কক্সবাজার শহর এলাকায় ছিনতাইকারী গ্রেপ্তারে বিশেষ অভিযান চালানো হচ্ছে। এর মধ্যে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কক্সবাজার নতুন জেল গেইট সংলগ্ন সড়কে ছিনতাইকারীরা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ঘটনাস্থলে একাধিক মোটরসাইকেল যোগে এসে একটি সিএনজির গতিরোধ করে। এ সময় গাড়ির যাত্রীর কাছ থেকে দুই লাখ ৭৫ হাজার টাকা, একটি ডায়মন্ডের রিং, একটি মোবাইলসহ অন্যান্য ডকুমেন্ট জোরপূর্বক ছিনিয়ে নিয়ে যায়।

এর সূত্র ধরে পুলিশ তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে এবং স্থানীয় লোকজনদের সহায়তায় ১২ জন পেশাদার ছিনতাইকারী ও অপরাধ কাজে ব্যবহৃত একটি মোটরসাইকেল জব্দ করে।

পুলিশ সুপার মুহাম্মদ রহমত উল্লাহ জানান, গ্রেপ্তার ১২ জনই পেশাদার ছিনতাইকারী। এদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে ছিনতাই, মাদকসহ নানা অপরাধে ৬-৭টির বেশি মামলা রয়েছে। অভিযানের পর পুলিশ আরও একটি নিয়মিত মামলা করে আসামিদের আদালতে পাঠায়। আদালত তাদের কারাগারে পাঠিয়েছে। পর্যটন শহরকে ছিনতাই ও অপরাধমুক্ত রাখতে বিশেষ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও উল্লেখ করেন এসপি।

ইএইচ