কক্সবাজারের সাবেক জেলা প্রশাসক রুহুল আমিন, সাবেক জেলা ও দায়রা জজ সাদিকুল ইসলাম তালুকদারসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার কক্সবাজারের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মুন্সী আব্দুল মজিদ এ আদেশ দেন।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন— কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের আইনজীবী মোস্তাক আহমদ চৌধুরী, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের নাজির স্বপন কান্তি পাল এবং জেলা ও দায়রা জজ আদালতের স্টেনোগ্রাফার জাফর আহমদ।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সরকারি কৌঁসুলি সিরাজ উল্লাহ। তিনি জানান, মামলার তদন্তে দুদকের দেয়া প্রতিবেদন গ্রহণের পর আদালত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
২০১৪ সালের ১৯ নভেম্বর তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের জন্য জমি অধিগ্রহণের ২০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে কক্সবাজারের কায়সারুল ইসলাম চৌধুরী বাদী হয়ে মামলাটি করেন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে তদন্তের জন্য দুদককে নির্দেশ দেন। মামলার তদন্তে সাবেক জেলা প্রশাসক রুহুল আমিনের নাম বাদ দিয়ে নথিপত্র পাঠানোর ঘটনা ঘটে, যা জালিয়াতি হিসেবে চিহ্নিত হয়। এরপর কায়সারুল ইসলাম আবার মামলা দায়ের করলে রুহুল আমিন এবং সাদিকুল ইসলাম তালুকদারসহ আরও সাতজনকে আসামি করা হয়।
দুদকের প্রতিবেদনে জানা যায়, মামলার নথিতে ২০১৪ সালে চিংড়ি ঘের, ঘরবাড়ি এবং অন্যান্য অবকাঠামো অধিগ্রহণের জন্য মোট ২৩৭ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়। এর মধ্যে চিংড়ি ঘের অধিগ্রহণের জন্য ৪৬ কোটি টাকা বরাদ্দ থাকলেও ১৯ কোটি ৮২ লাখ ৮ হাজার ৩১৫ টাকা আত্মসাৎ করা হয়।
এ ঘটনায় কক্সবাজার সদর মডেল থানায় ২০১৪ সালের ৭ ডিসেম্বর একটি মামলা দায়ের করা হয়, যেখানে সাবেক জেলা প্রশাসক রুহুল আমিনসহ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। দুদক দীর্ঘ তদন্ত শেষে প্রায় ২০ কোটি টাকা আত্মসাতের প্রমাণ পায়।
এ মামলায় ২০১৭ সালের ২২ মে জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে রুহুল আমিনকে কারাগারে পাঠানো হয়। তবে বর্তমানে তিনি জামিনে আছেন।
এর আগে, দুদক বিভিন্ন আসামিকে গ্রেপ্তার করে। মামলাটি বর্তমানে চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতে বিচারাধীন।
ইএইচ