তুচ্ছ ঘটনাকে রং মেখে কেন্দ্রে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা বিএনপি নেতা নাজমুলকে

মামুনুর রশিদ, চট্টগ্রাম ব্যুরো প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৭, ২০২৫, ০৯:০৬ পিএম

চট্টগ্রাম দক্ষিণের শেষ উপজেলা লোহাগাড়া উপজেলা বিএনপির আহবায়ক নাজমুল মোস্তফা আমিন। চট্টগ্রাম দক্ষিণের শেষ প্রান্তে হলেও সমগ্র চট্টগ্রামে তাঁর রয়েছে একক নামে পরিচিতি। নাজমুল মোস্তফা আমিন বললে সকলে চিনেন। তাকে জানার চেনার একমাত্র কারণ হচ্ছে আ.লীগ সরকারের সময়ে  বিএনপির মাঠের কর্মির একমাত্র ভরস্বাস্থল  ছিলো এই নাজমুল মোস্তফা আমিন।দলের জন্য কখনো ব্যবসা পরিবারকে যথাযথ সময় দেননি।কারণ তিনি যেমন রাজনৈতিক নেতা তেমনি সুপ্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী।

আ.লীগের টানা শাসন আমলে অনেক বিএনপি করা নেতা ঝিমিয়ে পড়েছিলো।রাজনীতি থেকে এক প্রকার বিদায় নিয়েছিলেন। আজ তারা নাকি বিএনপির দু:সময়ের কান্ডারী। এইগুলো শুনলে ও দেখলে হাসি পাই।কিন্তু লোহাগাড়া উপজেলা বিএনপির আহবায়ক নাজমুল মোস্তফা আমিন কখনো মাঠ ছেড়ে বিন্দু পরিমাণ সরে দাঁড়ায়নি।আজ দলের সুসময় আসার প্রবাহে তাকে নিয়ে শুরু করে দিয়েছেন ষড়যন্ত্র। এমনটি বলছেন, লোহাগাড়া উপজেলা যুবদলের আহবায়ক মো. সাব্বির আহম্মদ।

গত শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) কর্ণফুলীর মইজ্জ্যারটেক টোলপ্লাজায় টোল আদায়ে দেরি করায় দায়িত্ব থাকা কর্মীকে শাসান নাজমুল মোস্তফা আমিন। এসময় তিনি বেশ উত্তেজিতভাবে কথা বলেন এবং তার টি শার্টে কলার চেপে ধরেন। এই ঘটনার ভিতরের বিষয়ে প্রচার না করে তাৎক্ষণিক তাঁর ফুটেজের দেখতে পাওয়া আচরণকে সামনে নিয়ে আসেন। বিভিন্নজনের সাথে কথা বলে জানাগেছে, প্রতি বৃহস্পতিবার থেকে শনিবার অতিরিক্ত যানযট লেগে থাকে।গাড়ির চাপ এবং টোল কর্মীর অদক্ষতা ও অলসতায় বহুগুণ যানজট লেগে থাকে।শুক্রবারের ঘটনায় সাধারণ যাত্রীদের ক্ষিপ্ত হতে দেখে বড় ঘটনা ঘটার সম্ভবনায় নিজে গিয়ে শাসনের চোখে কলার ধরেন এবং সতর্ক করেন।

বিএনপির একাধিক নেতার সাথে কথা বলে জানাগেছে, সাতকানিয়া-লোহাগাড়ায় তাঁর জনপ্রিয়তা দেখে অনেকদিন ধরে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে কেন্দ্রে তাকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে। 

নাজমুল মোস্তফা আমিন বলেন,সেই দিন জুমার নামাজ আদায় করতে না পেরে ক্ষুব্ধ মুসল্লিরা উত্তেজিত হয়ে রাস্তায় নেমে পড়েছিল। আমি তাদের আমার রাজনৈতিক পরিচয় দিয়ে বিশৃঙ্খলা থেকে বিরত রাখি। আমি হামলা থেকে দেশের সম্পদ বাঁচাতে গিয়ে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়েছি।

আরএস