‘এসো দেশ বদলাই, পৃথিবী বদলাই’ এ স্লোগানকে সামনে রেখে মাদারীপুর দিনব্যাপী তারুণ্যের উৎসব-২০২৫ উপলক্ষে তারুণ্যে মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) বেলা ১১টায় সদর উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে উপজেলা পরিষদ চত্বরে এ তারুণ্যে মেলার আয়োজন করা হয়।
এ উপলক্ষে মেলা প্রাঙ্গণ থেকে একটি র্যালি বের হয়। পরে র্যালিটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে মেলা প্রাঙ্গণে আলোচনা সভায় এসে মিলিত হন। এ তারুণ্যে মেলায় সদর উপজেলার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের অর্ধ শতাধিক স্টল স্থান পেয়েছে। মেলায় বিজ্ঞানবিষয়ক প্রজেক্ট, পিঠা উৎসব,জিরা পিঠা, ভাপা,নকশি, চিতই, পাঠিসাপটা, জামাইবরণ পিঠা, ডাল ও তালের পিঠা, কৃষি বিভাগ,ক্ষুদে বিজ্ঞানী, জুলাই আগস্ট এর বিভিন্ন চিত্রকল্প ও বইয়ের স্টলও রয়েছে।
আর এসব গ্রাম বাংলার বিভিন্ন পিঠার পসরা সাজিয়ে বসেছে সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তা শিক্ষক শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। এ মেলায় জেলার ১০টি উপজেলার সরকারি-বেসরকারি অফিস, শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান এ অংশ নেয়। বাঙালির চিরচেনা ঐতিহ্য ধরে রাখতে আয়োজন করা হয়েছে। আর এ উৎসব উপভোগ করতে মেলা প্রাঙ্গণে ভিড় জমান বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।
শিক্ষক রুবেল হাওলাদার জানান, পিঠা মেলায় স্থান পেয়েছে জিরা পিঠা, ভাপা, নকশি, চিতই, পাঠিসাপটা, জামাই বরণ পিঠা, ডাল ও তালের পিঠাসহ তিন শতাধিক পিঠার সমারোহ। উৎসবে ভিড় জমান জেলার বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। অনেকেই মেতেছিল উৎসবে। কেউ কিনছেন, কেউ খাচ্ছেন। আবার কেউবা নিয়ে যাচ্ছেন প্রিয়জনের জন্য। পিঠা পুলির এ আয়োজনটি তরুণ প্রজন্মকে আকর্ষণ করে। পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের পিঠা তৈরি করে স্টলে বিক্রি করার মাঝেই আনন্দ তাদের। এতে তরুণরা বিভিন্ন পিঠার সাথে পরিচয় হতে পেরে খুশি তারা।
তারুণ্যের মেলায় সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ওয়াদিয়া শাবাব বলেন,গ্রামীণ ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে ব্যতিক্রমী উদ্যোগ। ব্যাপক সাড়া মিলেছে। প্রতি বছরই এ ধরনের আয়োজন অব্যাহত রাখার আশা করেন তিনি।
নতুন প্রজন্মের সঙ্গে দেশীয় পিঠার পরিচয় করিয়ে দিতে এমন আয়োজন আয়োজন করা। পাশাপাশি তারুণ্যের যে উৎসব। সেই উৎসব যেন সারাবছর জুড়ে থাকে, সেটাই প্রত্যাশা করেন তারা।
মাদারীপুর সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ওয়াদিয়া শাবাবের সভাপতিত্বে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবকবৃন্দ ও গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
আরএস