কৃষক-খেতমজুরদের ন্যায্য অধিকার আদায়ে কটিয়াদীতে জনসভা

রফিকুল ইসলাম আরমান, কটিয়াদী (কিশোরগঞ্জ) প্রকাশিত: জানুয়ারি ৩০, ২০২৫, ০২:২৭ পিএম

বাংলাদেশ কৃষক সমিতি ও খেতমজুর সমিতির জাতীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে কটিয়াদীতে জনসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সোমবার বিকাল ৫টায় মানিকখালী রেলওয়ে চত্বরে কটিয়াদী সংগ্রাম পরিষদের উদ্যোগে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

খেতমজুর নেতা সেলিম খানের সভাপতিত্বে জনসভায় বক্তব্য দেন- কৃষক সমিতির কিশোরগঞ্জ জেলা সাধারণ সম্পাদক সরকার মোস্তফা কামাল নান্দু, ট্রেড ইউনিয়নের জেলা সম্পাদক শ্রমিক নেতা আ. রহমান রুমি, খেতমজুর নেতা রঞ্জিত সরকার, আবুল হাসেম মাস্টার, শেখ জমসেদ, আ. কাদির ও কৃষক নেতা জামাল উদ্দিন।

সভা পরিচালনা করেন কৃষক সমিতির কটিয়াদী উপজেলা সহ-সাধারণ সম্পাদক ফজলুর রহমান।

বক্তারা বলেন, কৃষক, খেতমজুর ও শ্রমজীবী মানুষ নানান সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। কৃষি উপকরণের দাম কমাতে হবে, কৃষি পণ্যের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে হবে, কৃষকদের স্বল্প সুদে সহজ পদ্ধতিতে কৃষি ঋণ দিতে হবে, প্রয়োজনে সরকারকে কৃষিখাতে ভর্তুকি দিতে হবে, প্রতি ইউনিয়নে সরকারি ভাবে ধান ক্রয় কেন্দ্র চালু করতে হবে, দেশের সকল নাগরিকদের জন্য রেশনিং ব্যবস্থা চালু করতে হবে। স্থানীয় ক্লিনিক ও হাসপাতালগুলোতে ওষুধের বরাদ্দ বাড়াতে হবে। অমানবিকভাবে খাজনা আদায় বন্ধ করতে হবে। জমা খারিজ প্রক্রিয়া সহজ ও হয়রানিমুক্ত করতে হবে। আইডি কার্ড, জন্মনিবন্ধন সংশোধন সহজ করার উদ্যোগ নিতে হবে। প্রাইভেট হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলোর চিকিৎসা খরচ নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।

রেজিস্ট্রারি ও ভূমি মন্ত্রণালয়ের জটিলতার কারণে সাধারণ মানুষ চরম হয়রানির শিকার হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন বক্তারা। জমির দলিল, উত্তরাধিকার সনদ ও সম্পত্তির বণ্টনপত্র তৈরি করতে গিয়ে দুর্নীতির কবলে পড়তে হচ্ছে। একই ব্যক্তির একাধিক নামে সরকারি নথি থাকায় অনেকে জমি ও সম্পত্তি সংক্রান্ত কাজে নানা সমস্যার মুখে পড়ছেন। এসব সমস্যার দ্রুত সমাধান করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।

জনসভায় বক্তারা চিকিৎসাসেবার বাণিজ্যিকীকরণের সমালোচনা করেন। দালালদের দৌরাত্ম্য বন্ধ এবং গরিব রোগীদের প্রতি চিকিৎসকদের মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি বজায় রাখার আহ্বান জানান।

সভায় অংশগ্রহণকারীরা সরকারের প্রতি দ্রুত এসব দাবি বাস্তবায়নের আহ্বান জানান।

ইএইচ