বরগুনার তালতলী সদরের মাছ বাজার ও খোট্রারচর এলাকার সাথে সংযোগ বগীরদোনা খালের উপর দীর্ঘদিন ধরে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় দাঁড়িয়ে থাকা ব্রিজটি ভেঙে খালে পড়েছে। ব্রিজটি ভেঙে পড়ায় দুই পাড়ের মানুষের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এতে প্রায় ৯-১০ হাজার মানুষ ভোগান্তিতে পড়েছে।
দ্রুত বিকল্প ব্যবস্থা করে দেয়ার আশ্বাস দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।
শুক্রবার এ ব্রিজটি হঠাৎ খালে ভেঙে পড়ে। এতে হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি।
জানা যায়, উপজেলার খোট্রারচর মাছ বাজার এলাকায় বগীরদোনা খালের ওপর ২০০০ সালের দিকে এ ব্রিজটি নির্মাণ করে এলজিইডি। ২০০৭ সালে ঘূর্ণিঝড় সিডরে সেতুটির কয়েকটি স্থান দেবে যায়। এরপর ঝুঁকিপূর্ণ ব্রিজটি আর সংস্কার করা হয়নি। ব্রিজটি ঝুঁকিপূর্ণ জেনেও বিকল্প ব্যবস্থা না থাকায় প্রতিদিন দুই পাড়ের কয়েক হাজার মানুষ পারাপার করতেন। হঠাৎ শুক্রবার ভোর রাতে খালে জোয়ারের পানির তীব্র স্রোতে ধসে পড়ে এ ব্রিজটি। এতে ঐ ব্রিজের দুই পাড়ের এবং আশপাশের কয়েকটি গ্রাম ও খোট্টারচরের পর্যটন স্থানের প্রায় ৮ হাজার মানুষ যাতায়াতে ভোগান্তি। এ এলাকার মধ্যে ১টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, একটি বাজার, ২টি এতিমখানা, ২টি মাদ্রাসা ও একটি পর্যটন-স্থানসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান রয়েছে।
বর্তমানে ছোট্ট একটি ডিঙি নৌকায় ঝুঁকি নিয়ে পারাপার করছে মানুষ।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ব্রিজটি সম্পূর্ণ ধসে খালের পানির মধ্যে পড়ে আছে। ব্রিজটির দুই পাড়ের স্কুল শিক্ষার্থী ও ব্যবসায়ীরা হাটবাজারে যাওয়ার জন্য পারাপারের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে আছে। পারাপারের জন্য ঝুঁকি নিয়েই ডিঙি নৌকায় খাল পার হচ্ছেন। দুই পাড়ের ৯-১০ হাজার মানুষের যাতায়াতের জন্য এই ব্রিজটিই একমাত্র মাধ্যম ছিল।
খালের ঐ পারের ব্যবসায়ী মোশারেফ, আমির হোসেন ও আল আমিনসহ একাধিক স্থানীয়রা বলেন, ব্রিজের কাছাকাছি আমাদের বসবাসের বাসা-বাড়ি। ভোর রাতের দিকে হঠাৎ বিকট শব্দ পাই। কাছে গিয়ে দেখি ব্রিজটি ভেঙে খালে পড়ে আছে। এই ব্রিজটি প্রায় ১৬-১৭ বছরেরও বেশি সময় ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ে আছে। স্থানীয়রা সংস্কার করে দীর্ঘদিন ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। পরে একাধিক বার নতুন ব্রিজ নির্মাণের আবেদন করা হলেও কোনো উদ্যোগ নেয়নি স্থানীয় প্রকৌশল বিভাগ। তাই দ্রুত নতুন একটি ব্রিজ নির্মাণ করা দরকার।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার উম্মে সালমা আমার সংবাদকে বলেন, আমি খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। বিকল্পভাবে চলাচলের জন্য আপাতত একটি কাঠের ব্রিজ তৈরি করে দেয়া হবে। কোন দপ্তর ব্রিজটি নির্মাণ করেছে সেটা জেনে তাদের সাথে আলোচনা করে পরবর্তীতে নতুন ব্রিজ নির্মাণের জন্য প্রতিবেদন পাঠানো হবে।
ইএইচ