ভোগান্তির অপর নাম দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌ-রুট

রাজবাড়ী প্রতিনিধি প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২, ২০২৫, ০২:৩৩ পিএম

মাদারীপুর গ্রামের বাড়ি থেকে ঢাকার সাভারে যাওয়ার উদ্দেশ্য মোটরসাইকেলযোগে সুমি আক্তার ও জাহিদুল ইসলাম দম্পতি রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ঘাটে পৌঁছান রাত ১২টায়। ঢাকার সাভারে একটি কোম্পানিতে কাজ করেন। ঘাটে এসে দেখতে পান ঘন কুয়াশার কারণে ফেরি চলাচল বন্ধ। আর উপায় নেই। সারারাত ফেরিঘাটে কাটে তাদের।

রোববার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে দৌলতদিয়া ৭ নম্বর ফেরিঘাটে কথা হয় সুমি আক্তারের সাথে।

তিনি বলেন, কী করার আছে? সারারাত মোটরসাইকেলের উপর বসে স্বামীর কাঁধের উপর ভর করে রাত কেটেছে আমার। আমার মতো অনেকেই এভাবে সারারাত পার করেছেন। হোটেলে গেলে মোটরসাইকেল চুরি হবে, এ কারণে চরম ভোগান্তি নিয়েই বসে থাকতে বাধ্য হই।

সরেজমিনে দৌলতদিয়া ঘাটে দেখা যায়, ঘন কুয়াশার মধ্যে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ট্রলারে করে যাত্রী পারাপার করছেন। জনপ্রতি ১০০ টাকা করে দেয়া লাগছে।

নৌ-পুলিশের দায়িত্ব থাকলেও প্রকাশ্যে ট্রলারে যাত্রী পারাপার করলেও তাদের কোন ভূমিকা চোখে পড়েনি।
ঘন কুয়াশার কারণে শনিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১০টা থেকে দুর্ঘটনা এড়াতে বিআইডব্লিউটিসি কর্তৃপক্ষ সাময়িকভাবে ফেরিসহ সকল প্রকার নৌযান চলাচল বন্ধ রাখে। কুয়াশার ঘনত্ব বেড়ে গেলে দৃষ্টিসীমা শূন্যের কোঠায় নেমে আসে, যার ফলে নৌ চলাচলে মারাত্মক ঝুঁকি তৈরি হয়।

সাড়ে ১০ ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর রোববার সকাল ৯টায় দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক হয়।

বিআইডব্লিউটিসির দৌলতদিয়া ঘাট শাখার সহকারী মহাব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) মোহাম্মদ সালাউদ্দিন বলেন, ‘কুয়াশার কারণে দৃষ্টিসীমা শূন্য হয়ে গিয়েছিল। তবে কুয়াশা কমে আসায় রোববার সকাল ৯টার দিকে ফেরিসহ সব ধরনের নৌযান চলাচল স্বাভাবিক করা হয়েছে। বর্তমানে নৌপথ নিরাপদ রয়েছে। 
এই দীর্ঘ সময় ফেরি বন্ধ থাকায় দক্ষিণবঙ্গের ২১ জেলার যাত্রী ও পণ্যবাহী যানবাহন চালকদের দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। তবে বর্তমানে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক থাকায় যাত্রী ও পরিবহণ চালকদের মধ্যে স্বস্তি ফিরেছে।

ইএইচ