কলেজ ছাত্রীকে কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ আ.লীগ নেতার বিরুদ্ধে

জাজিরা (শরীয়তপুর) প্রতিনিধি প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২, ২০২৫, ০৩:৪১ পিএম

আওয়ামী লীগ নেতার করা চাঁদাবাজির মিথ্যা মামলায় পুলিশ তদন্তে গেলে স্থানীয় আরও অনেকের পাশাপাশি সত্যিটা বলেন বিকেনগর বঙ্গবন্ধু কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী মাহিমা আক্তার (১৮)।

পুলিশ কোর্টে প্রতিবেদন দাখিল করলে খারিজ হয়ে যায় ওই মামলা। এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে কলেজ ছাত্রীকে কুপিয়ে আহত করে আওয়ামী লীগ নেতা হাবিব জমাদ্দার ও তার অনুসারীরা।

এ ঘটনায় রোববার জাজিরা থানায় হাবিব জমাদ্দারসহ ৫ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতনামা ৪-৫ জনকে আসামি করে জাজিরা থানায় একটি এজাহার দায়ের করেন ভুক্তভোগীর মামা।

এর আগে শনিবার দুপুরে জাজিরা পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের আহাদ্দি বয়াতি কান্দি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

আহত শিক্ষার্থী পালেরচরের বাসিন্দা মাইনদ্দিন মোল্লার মেয়ে মাহিমা আক্তার। জাজিরা পৌরসভার আহাদ্দি বয়াতি কান্দি মামার বাড়িতে থেকে পড়াশোনা করছে মাহিমা আক্তার। এ ঘটনায় ঐ শিক্ষার্থী মাহিমা ও তার মামা জসিম জমাদ্দারও আহত হয়েছেন।

জানা যায়, হামলায় নেতৃত্ব দেয়া হাবিব জমাদ্দার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ঢাকার যাত্রাবাড়ী থানার একজন এজাহারভুক্ত আসামি।

মেয়ের সাথে হওয়া অন্যায়ের বিচার দাবি করে শিক্ষার্থী মাহিমার বাবা মাইনদ্দিন মোল্লা জানান, ‘আমাদের বাড়ি থেকে কলেজে যাতায়াতে সমস্যা হয় তাই আমার মেয়ে মামার বাড়িতে থেকে পড়াশোনা করছে। ২০২৫ সালের এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবে। টেস্ট পরীক্ষা চলছে। এই সময়ে আমার মেয়েটাকে নৃশংসভাবে মারধর করা হলো। আমি এর সঠিক বিচার চাই।’

স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্য সেরু জমাদ্দার বলেন, হাবিব জমাদ্দার তার লোকজন নিয়ে মেয়েটাকে বেদম মারধর করে। মেয়েটি প্রাণ বাঁচাতে আমার বাড়িতে আশ্রয় নিতে গেলে সেখানে গিয়েও মেয়েটিকে মারধর করে। এর সঠিক বিচার হওয়া উচিত।

আহত মাহিমার মামা ও মামলার বাদী নাসির জমাদ্দার বলেন, আমার ভাগনি পুলিশের কাছে সত্য কথা বলার কারণে ওরা আমার ভাগনিকে মেরে ফেলতে চেয়েছিল। আল্লাহ্ বাঁচিয়েছে। আমি হাবিব জমাদ্দারসহ হামলাকারীদের কঠিন বিচার চাই।

ঘটনার বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত হাবিব জমাদ্দারের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, আমি এ বিষয়ে কিছু জানি না। ওরা আমার বাবাকে অনেক মারধর করেছে। এখন আমার বাবাকে নিয়ে আমি হাসপাতালে আছি।

এ বিষয়ে জাজিরা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুস সালাম বলেন, আমরা লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

ইএইচ