বাগেরহাট জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের যুগ্ম আহ্বায়ক কে.এম. সাকিব উপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে।
শনিবার গভীর রাতে মোরেলগঞ্জ উপজেলার ঘষিয়াখালী-মল্লিকেরবেড় খেয়াঘাটে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
রাতেই আহত ছাত্র নেতাকে বাগেরহাট ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তবে এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত মামলা হয়নি, কাউকে আটকও করতে পারেনি পুলিশ।
আহত কে. এম. সাকিব মোরেলগঞ্জ উপজেলার ঘোষিয়াখালী গ্রামের বিল্লাল খলিলাফার বড় ছেলে।সে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন বাগেরহাট জেলা শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক।
২৫০ শয্যা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছাত্র নেতা কে.এম. সাকিব বলেন, গতকাল রাতে ঘষিয়াখালী-মল্লিকেরবেড় খেয়াঘাটে ঘষিয়াখালী থেকে মল্লিকের বের এলাকায় যাওয়ার জন্য কিছু লোক যায়। ঘাটের ট্রলার মালিকরা বলেন, জাহিদ ট্রলার চালাতে নিষেধ করছে। তখন বিষয়টি জানতে গেলে, জাহিদের লোকজন সাওন, রনি, সবুজ, তুহিন, মারজান ও মো. রাফি আমার উপর হামলা করে। তাদের মারধরে আমার মাথা ফেটে গেছে, শরীরের বিভিন্ন স্থানে পিটিয়েছে হামলাকারীরা। হামলাকারীদের বেশিরভাগের বাড়ি রামপাল উপজেলার মল্লিকের বেড় এলাকায়।
সাকিব আরও বলেন, ঘষিয়াখালী-মল্লিকেরবেড় খেয়াঘাটটি দখল করে দীর্ঘদিন ধরে চাঁদাবাজি করছিল আওয়ামী সরকারের প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় স্থানীয় জাহিদুল ইসলাম ও তার লোকজন। সরকার পতনের পর বিএনপি নেতাদের ছত্রছায়ায় আবারও ঘাটে চাঁদাবাজি শুরু হয়েছে। এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় এর আগেও আমাকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছিল চাঁদাবাজরা।
ঘাটের দায়িত্বে থাকা জাহিদুল ইসলাম বলেন, মল্লিকের বাজারে জাহিদুল ইসলাম নামের এক নেতা রয়েছেন, সাকিব তাকে গালিগালাজ করেছেন। এর কারণেই ছেলেরা সাকিবকে দু’একটা চরথাপ্পর দিয়েছে।
বাগেরহাট ২৫০ শয্যা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক অসীম কুমার সমাদ্দার জানান, গতকাল রাতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বাগেরহাট জেলা যুগ্ম আহ্বায়ক কে.এম. সাকিব হাসপাতালে ভর্তি হন। বর্তমানে তিনি অনেকটাই সংকটমুক্ত। আমরা আশাবাদী, তিনি দ্রুত সুস্থ হয়ে যাবেন।
মোরেলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রাকিবুল হাসান বলেন, মারধরের খবর শুনে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা সাকিবকে বাগেরহাট ২৫০ শহর জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অভিযুক্তদের আটক করতে পুলিশ অভিযান শুরু করেছে। তবে অভিযুক্ত বেশিরভাগের বাড়ি রামপাল উপজেলায় হওয়ায় কাজ করতে কিছুটা বেগ পেতে হচ্ছে। তবে এ ঘটনায় আহত সাকিবের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কোন মামলা বা অভিযোগ দেয়নি।
ইএইচ