উত্তরবঙ্গের সব পেট্রোল পাম্প বন্ধ: নাটোরে চালকদের ভোগান্তি

মনজুর ই মওলা সাব্বির, নাটোর প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ৫, ২০২৫, ০২:৫৬ পিএম

সড়ক জনপথ বিভাগের উচ্ছেদ অভিযানের প্রতিবাদে রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের সকল পেট্রোল পাম্পের মতো নাটোরের পেট্রোল পাম্পগুলোতেও চলছে অনির্দিষ্টকালের জন্য তেল উত্তোলন, বিপণন ও পরিবহণ ধর্মঘট।

মঙ্গলবার দিনগত রাতে এক জরুরি বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য প্রকাশ করে সকল পেট্রোল পাম্প মালিকদের তেল উত্তোলন, বিপণন ও পরিবহণ বন্ধ রাখার আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়ম ডিলার্স, ডিস্ট্রিবিউটর্স, এজেন্টস এন্ড পেট্রোল পাম্প ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন।

এ কারণে বুধবার সকাল ৮টা থেকে নাটোরেও শুরু হয়েছে এই অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘট।

নাটোরের এক পেট্রোল পাম্পের মালিক জানান, মঙ্গলবার বগুড়া জেলার সড়ক ও জনপথ বিভাগ কোনো প্রকার পূর্বঘোষণা বা নোটিশ বা আনুষ্ঠানিক চিঠি প্রদান না করে আকস্মিক উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করে। এ অযৌক্তিক ও অন্যায় অভিযানের ফলে পেট্রোল পাম্প মালিকরা চরম হতাশ ও ক্ষুব্ধ। তাই এই অভিযানের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাতেই এই ধর্মঘট।

এদিকে বুধবার সকাল থেকে সকল পেট্রোল পাম্পে অনির্দিষ্টকালের জন্য তেল উত্তোলন, বিপণন ও পরিবহণ ধর্মঘটের ডাক দেয়ার খবর চারিদিকে ছড়িয়ে পড়লে নাটোরে মোটরসাইকেল আরোহী, প্রাইভেট কার, মাইক্রোগাড়ির মালিক-চালকরা মঙ্গলবার রাত থেকেই পেট্রোল, অকটেন তোলার জন্য নাটোর শহরের স্টেশন বাজার, হাফরাস্তা, মাদ্রাসা মোড়, চকরামপুর এলাকাসহ রাজশাহী-নাটোর মহাসড়ক, নাটোর-বগুড়া মহাসড়ক, নাটোর-পাবনা মহাসড়কের ধারেসহ আশেপাশের পেট্রোল পাম্পগুলোতে ভিড় করতে দেখা গেছে। কেউ ৫ লিটার, ১০ লিটার আবার কেউ কেউ ট্যাংঙ্কি ভরে তেল সংগ্রহ করেছেন।

সরেজমিনে রাত সাড়ে ১২টা পর্যন্ত বিভিন্ন পেট্রোল পাম্পগুলোতে লাইন ধরে তেল নিতে দেখা গেছে। কোনো কোনো পাম্পে তেল নেই, ফুরিয়ে গেছে বলে অনেককে ফিরিয়ে দেয়া হয়েছে।

শহরের হাফরাস্তা এলাকার পেট্রোল পাম্পে তেল নিতে আসা আলম, লিটন হোসেন, কেরামত হোসেনসহ অনেকে জানান, সারাদিন কর্মের প্রয়োজনে মোটরসাইকেল নিয়ে দৌড়ঝাঁপ করতে হয়। ধর্মঘট শুরু হলে তেল পাওয়া যাবে না। তাই খবর পেয়ে তারা তেল নিতে এসেছেন। তারা অন্যান্য পেট্রোল পাম্পেও তেল নেয়ার চেষ্টা করেছেন কিন্তু তেল ফুরিয়ে গেছে বলে তাদের ফিরিয়ে দেয়া হয়েছে। কোনো কোনো পাম্প মালিক ধর্মঘটের কথা শুনে নির্ধারিত সময়ের আগেই পাম্প বন্ধ করে রেখেছেন।

প্রাইভেট কার চালক আওলাদ হোসেন, চঞ্চল জানান, সারাদিন ভাড়া খাটেন, তার গাড়িতে গ্যাস ফুরিয়ে গেছে, তাই জ্বালানি হিসেবে বেশি করে পেট্রোল তুলে রাখলেন। তাদের মত অনেকে তেল নিতে পারেননি। ফলে তাদের ভোগান্তি পোহাতে হবে।

ইএইচ