মেডিকেল কলেজেও ৬৫ ভাগের বেশী শিক্ষকের পদ শূন্য
চিকিৎসা সেবা ব্যাহত
হাসপাতালে ৩য় শ্রেণীর ১৮২টি পদের অর্ধেক শূন্য
৪র্থ শ্রেণীরও অর্ধেক পদ খালি
৪২৬ জন ৪র্থ শ্রেণীর কর্মচারীর মধ্যে ২১৯টি পদে কোন জনবল নেই
মেডিকেল কলেজেও ৬৫ ভাগের বেশী শিক্ষকের পদ শূন্য
দক্ষিণাঞ্চলের সর্ববৃহৎ সরকারি চিকিৎসাসেবা প্রতিষ্ঠান শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালটি বছরের পর বছর ধরে জনবল সংকটে ধুকছে।
চাহিদার অর্ধেক জনবল সংকটে পুরো হাসপাতালটির কোন ওয়ার্ডই সুষ্ঠু চিকিৎসা সেবা দিতে পারছে না। প্রায় এক দশক আগে এ হাসপাতালটির অনুমোদিত শয্যাসংখ্যা ৫শ’ থেকে ১ হাজারে উন্নীত করা হলেও এখনো বাড়তি জনবল মঞ্জুরি দেয়া হয়নি। ফলে ৫শ’ শয্যার জনবল মঞ্জুরি নিয়ে প্রতিনিয়ত প্রায় ২ হাজার রোগীর চিকিৎসা সেবা দিচ্ছে হাসপাতালটি।
অপরদিকে, মেডিকেল কলেজেও ৬৫ ভাগের বেশি শিক্ষকের পদ শূন্য থাকছে বছরের পর বছর। এর উপরে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীর অভাব হাসপাতালটিকে আরো দুরাবস্থায় ফেলছে। ৫শ’ শয্যার জনবল মঞ্জুরীর এ হাসপাতালে ৩য় শ্রেণীর ১৮২টি পদের অর্ধেক শূন্য। ৪র্থ শ্রেণীরও অর্ধেক পদ খালি। ৪২৬ জন ৪র্থ শ্রেণীর কর্মচারীর মধ্যে ২১৯টি পদে কোন জনবল নেই। ফলে বিশাল এ হাসপাতালটির পরিচ্ছন্নতা থেকে শুরু করে সার্বিক পরিচালনা ব্যবস্থা অনেক সময় মুখ থুবড়ে পড়ছে। কোন ধরনের জনবল মঞ্জুরি না দিয়েই শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালটিকে ১ হাজার শয্যায় উন্নীত করার একদশক পার হয়েছে। কিন্তু জনবল নিয়োগ না দেওয়ায় বিঘ্নিত হচ্ছে সঠিক স্বাস্থ্যসেবা।
এদিকে ২০২০ সালে নির্মিত নতুন ৫ তলা প্রশাসনিক ভবনটিকে করোনা ওয়ার্ড হিসেবে চালু করা হলেও প্রয়োজনীয় জনবলের অভাবে সে ওয়ার্ডটিতে চিকিৎসা সেবা ব্যবস্থা মুখ থুবড়ে পড়েছিল। করোনা পরবর্তীকালে ২০২৩ সালে সেখানে মেডিসিন ওয়ার্ডটি স্থানান্তরের পর পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ আকার ধারণ করে। এর বাইরে প্রশাসনিক ভবনটি হাসপাতালে রূপান্তর করতে গিয়ে জটিলতা তৈরির সাথে জনবল সংকটে হাসপাতালটির সর্ববৃহৎ মেডিসিন বিভাগের সবগুলো ইউনিটেই এখন চরম অচলাবস্থা অব্যাহত আছে।
এ ব্যাপারে হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মশিউল মুনির বলেন, সার্বিক সমস্যার বিষয়টি নিয়মিতভাবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও মন্ত্রণালয়কে অবহিত করা হচ্ছে। জনবল সংকটে হাসপাতালটির চিকিৎসা ব্যবস্থা অনেক সময় ব্যাহত হয় এটা ঠিক। তবে আমরা সব সময় সুষ্ঠু পরিচালন ব্যবস্থা অব্যাহত রাখার চেষ্টা করে যাচ্ছি। ৫শ’ শয্যার জনবলেরও অর্ধেক ঘাটতি নিয়ে প্রায় দু’হাজার রোগীর চিকিৎসা সেবা অব্যাহত রাখা কষ্টকর। পরিস্থিতি উত্তরণে সবার সহযোগিতা কামনা করেন পরিচালক।
ইএইচ