বাংলাদেশের ৭২ এর সংবিধান একটি অবৈধ সংবিধান এবং যারা এই সংবিধান রচনা করেছিলেন তারা পাকিস্তান গণপরিষদের নির্বাচিত সদস্য ছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতে ইসলামির নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের।
শনিবার বিকালে শরীয়তপুর পৌরসভা মাঠে জেলা কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি বলেন, পাকিস্তানের সংবিধানের আওতায় নির্বাচিত সদস্যরা ৭৩ সনে এই সংবিধান রচনা করেছেন, যা বৈধ হতে পারেনা। দরকার ছিল একটি গণভোট করার জন্য, তারা সেই গণভোটও করেনি। যাত্রাই শুরু করেছি আমরা অবৈধভাবে।
সংবিধানে সংস্কারে কথা জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা পরিষ্কার বলতে চাই ৭২ এর সংবিধান চলবে না। নতুন করে সংবিধান রচনা করতে হবে। এদেশের মানুষের চিন্তা চেতনাকে ধারণ করে ৭১ এর মানুষ যে রক্ত দিয়েছে, জীবন দিয়েছে সেই চেতনাকে ধারণ করে সংবিধান রচনা করতে হবে। আমাদের কমিটমেন্ট করতে হবে সবাইকে, আমরা সংবিধান বাতিল করে নতুন করে সংবিধান রচনা করবো।
তিনি আরও বলেন, গণতন্ত্র আন্দোলনের ফসল হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধ। কিন্তু দেশ স্বাধীন করে যে ক্ষমতায় আসলেন তারা এখানে গণতন্ত্রকে হত্যা করে, বাকশাল করেছেন। বাকশালের পরিণতি শেখ মুজিব হত্যা হয়েছে পরবর্তীতে জিয়াউর রহমান হত্যা হয়েছে। আন্দোলনের পশ্চাতেই পতন হয়েছে।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামির জেলা আমির অধ্যক্ষ মুহা. আবদুর রব হাশেমির সভাপতিত্বে কর্মীসভায় আরও উপস্থিত ছিলেন- কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য সাইফুল আলম খান মিলন, কেন্দ্রীয় মজলিশ সূরা সদস্য ও শরীয়তপুর জেলা নায়েবে আমির একেএম মকবুল হোসেন, ইসলামি ছাত্রশিবির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাবেক সভাপতি ড. মোশাররফ হোসেন মাসুদ তালুকদার, সেক্রেটারি জেনারেল, জাতীয় চিকিৎসক সংগঠন, ন্যাশনাল ডক্টরস ফোরাম (এনডিএফ) অধ্যাপক ডা. মাহমুদ হোসেন বকাউল, বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কোষাধ্যক্ষ মোহাম্মদ আজহারুল ইসলাম ও অন্যান্যরা।
ইএইচ