রাজশাহীর তানোরে হঠাৎ করে আলু গাছে পচন রোগ দেখা দেয়ায় দিশেহারা হয়ে পড়েছে আলু চাষিরা।
পচন রোগ রোধে মাঠে পাচ্ছেন না কৃষি অফিসের কোন লোকজনকে। ফলে বাধ্য হয়ে পচন রোগ দূর করতে বালাইনাশক দোকানির পরামর্শে একের পর এক কীটনাশক ব্যবহার করেও দূর করতে পারছেন না পচন রোগ। এতে করে চরম হতাশ হয়ে পড়েছে তানোরের আলু চাষিরা।
পচন রোগ রোধ করা না গেলে চরমভাবে ফলন বিপর্যয়ের আশঙ্কা চাষিদের মধ্যে।
উপজেলার কামারগাঁ, সিধাইড়, যশপুর, নারায়নপুর মাঠে ও তানোর পৌর এলাকার সেন্দুকাই বিস্তীর্ণ আলু খেতে দেখা দিয়েছে এ পচন রোগের ছড়াছড়ি।
এছাড়াও যোগীশো মাঠেও প্রচুর পরিমাণে ছড়িয়ে পড়েছে পচন রোগের মহামারি। কামারগাঁ ইউনিয়নের শরিফ উদ্দিনের ৭ বিঘা, গৌউরের ৩ বিঘা, শাহাদাতের ২৮ কাঠা জমিতে পচন রোগ ধরেছে। কিন্তু তারা মাঠ পর্যায়ে কোন কৃষি কর্মকর্তাদের পরামর্শ পাচ্ছেন না।
তারা বলেন, তাদের মাঠে প্রায় দুইশ’ বিঘা জমির আলুগাছে পচন রোগ দেখা দিয়েছে। রোগে আলুগাছ মরে যাচ্ছে। এতে ফলনহানির আশঙ্কায় দিশেহারা হয়ে পড়েছি। অথচ কৃষি বিভাগ নির্বিকার রয়েছে।
কামারগাঁ মাঠের আলু চাষি শরিফ উদ্দিন বলেন, এবার তিনি ৭ বিঘা জমিতে আলু চাষ করেছেন। পচন রোগে ইতিমধ্যে তার আলু খেতের সিংহভাগ গাছ পচে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে তানোর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাইফুল্লাহ আহম্মেদ বলেন, তার জানামতে কোথাও আলু গাছে পচন রোগ ধরেনি। আলুর গাছ ভালো অবস্থায় আছে, আলুগাছে পচন রোগ দেখা দিলে কৃষকরা যদি তাদের কাছে পরামর্শ নিতে না আসে তাহলে তো তাদের করণীয় কিছু নাই।
তিনি আরও বলেন, তার জানামতে এখনো তানোরের কোথাও আলুগাছে পচন রোগে আক্রান্ত হওয়ার কোনো খবর তার কাছে নাই।
ইএইচ