চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চালানোর সময় পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মীদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। অভিযানে অনুমোদনহীন একটি অবৈধ ইটভাটার ক্ষতিকর চিমনি ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয়া হয়েছে এবং পাশের অন্য একটি ইটভাটাকে ৬ লাখ টাকা অর্থদণ্ড করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সকালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহমুদুল হাসান গণমাধ্যমকে দেওয়া এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে নিশ্চিত করেন।
এর আগে গত সোমবার উপজেলার বেতাগী ইউনিয়নের বানিয়াখোলা এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)`র নেতৃত্বে অভিযানে সহযোগিতা করেন পরিবেশ অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয় ও রাঙ্গুনিয়া মডেল থানার পুলিশ।
চট্টগ্রাম পরিবেশ অধিদপ্তরের রিচার্জ অফিসার মো. আশরাফ উদ্দিন জানান, অভিযোগের ভিত্তিতে তারা বেতাগী ইউনিয়নের দুটি ইটভাটায় অভিযান চালাতে যান। দুপুর ২টার দিকে প্রথম ইটভাটায় অভিযান শুরু করে ভাটার প্রায় অর্ধেক ভেঙে ফেলার পর স্থানীয় এক নেতা মোবাইল কোর্ট পরিচালনায় বাধা দেন এবং হুমকি দিতে থাকেন। এক পর্যায়ে ওই নেতা ও তার সহযোগীরা পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মীদের সাথে দুর্ব্যবহার করে আকস্মিত ভাবে হামলা করতে শুরু করে। এই সময় স্কেভেটর চালককে ইট দিয়ে আঘাত করে।
হামলায় এহসান নামে একজন স্কেভেটর চালক আহত হন। পরে তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। হামলার মূল হোতাকে ধরা না গেলেও, জড়িত সন্দেহে দুজনকে আটক করে উপজেলা পরিষদে নিয়ে আসা হয় এবং ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০১৩ অনুযায়ী ৬ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
রাঙ্গুনিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানান, উপজেলার বেতাগী ইউনিয়নের বানিয়াখোলা এলাকায় অনুমোদনহীন ইটভাটা পরিচালনায় পরিবেশ ধ্বংসকারী ড্রাম চিমনি দ্বারা ইট পোড়ানোর কাজে কাঠ ব্যবহার করায় একটি ইটভাটার ক্ষতিকর ড্রাম চিমনি ধ্বংস করা হয়। এছাড়াও একই এলাকায় অবৈধভাবে পাহাড় কেটে ধ্বংস করা, জ্বালানি হিসেবে বনের কাঠ ব্যবহার ও কৃষি জমির টপসয়েল কাটার অপরাধে একটি ইটভাটাকে ইটপ্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১৩ এর সংশ্লিষ্ট ধারায় ছয় লক্ষ টাকার অর্থদণ্ড করা হয়। পরিবেশ রক্ষায় প্রশাসন এর এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।
বিআরইউ